গাজায় ক্ষুধার যুদ্ধ, বোমার আগে প্রাণ নিচ্ছে অনাহার!

গাজায় চলমান যুদ্ধ এখন শুধু সীমান্ত বা অস্ত্রের লড়াই নয়, বরং ক্ষুধা ও মানবতার সংকটে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, গাজার পরিস্থিতি এখন সবচেয়ে ভয়াবহ। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো ক্ষুধার্ত জনতার দ্বারা লুট হচ্ছে, কারণ শিশুদের কাছে রুটি, মায়েদের কাছে জল, এবং বয়স্কদের কাছে আশা নেই। গত শুক্রবার (২৩ মে, ২০২৫) ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছেন, অনেকে আহত ও নিখোঁজ। ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ৭৫টি সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস করেছে, কিন্তু হাসপাতাল, স্কুল ও শরণার্থী শিবিরও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার রাস্তায় ধ্বংসস্তূপের পাশাপাশি আশার কবরও তৈরি হচ্ছে, যেখানে মানুষ অসহায়ত্বে ভেঙে পড়ছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৫০০,০০০ মানুষ অনাহারের দ্বারপ্রান্তে। দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় ২১ লক্ষ মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, ইসরায়েল, মিশর ও জর্ডানের গুদামে খাদ্য মজুদ থাকলেও গাজার গুদাম খালি। বেকারি ও দান-চালিত রান্নাঘর বন্ধ হয়ে গেছে। আগে ১০ লক্ষ মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করা হলেও এখন মাত্র ২ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় দেশগুলো ইসরায়েলের কাছে খাদ্য সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে, কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাস ধ্বংসের লক্ষ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। এই সংকটে মানবতার কণ্ঠস্বর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।