পহেলগাম হামলায় নারীদের ‘বীরত্বের অভাব’ বলে কটাক্ষ, জাঙ্গড়ার বিরুদ্ধে বিরোধীদের ক্ষোভ

পহেলগাম হামলায় নারীদের ‘বীরত্বের অভাব’ বলে কটাক্ষ, জাঙ্গড়ার বিরুদ্ধে বিরোধীদের ক্ষোভ

২২ এপ্রিল ২০২৫-এ জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই ঘটনায় বিজেপি রাজ্যসভা সাংসদ রামচন্দ্র জাঙ্গড়ার বিতর্কিত মন্তব্য ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। হরিয়ানার ভিওয়ানিতে দেবী অহিল্যাবাই হোলকারের ৩০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “যে নারীরা তাদের স্বামীদের হারিয়েছেন, তাদের মধ্যে বীরাঙ্গনার জোশ, উদ্দীপনা ও সাহস ছিল না। তারা হাত জোড় করে গুলির শিকার হয়েছেন।” তিনি আরও বলেন, অগ্নিবীর প্রশিক্ষণ থাকলে হতাহতের সংখ্যা কম হতো।

জাঙ্গড়ার এই মন্তব্যকে বিরোধী দলগুলি ‘অসংবেদনশীল’ ও ‘নারী-বিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা করেছে। কংগ্রেস নেতা দীপেন্দ্র সিং হুডা বলেন, “যাদের স্বামীদের সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে, তাদের মর্যাদা নষ্ট করছেন এই বিজেপি সাংসদ। এটি ঘৃণ্য মন্তব্য।” সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, “এই কুৎসিত মন্তব্যের জন্য ‘নিন্দনীয়’ শব্দও আপত্তি করবে। বিজেপি নারীদের অপমান ও শোষণে বিশ্বাসী।” কংগ্রেসের সুপ্রিয়া শ্রীনেত জাঙ্গড়ার মন্তব্যকে ‘বেশর্মি’ বলে সমালোচনা করেন। ইমরান প্রতাপগড়ি বলেন, “বিজেপি শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্তদের অপমানে প্রতিযোগিতা করছে।”

জাঙ্গড়া দাবি করেন, তিনি অহিল্যাবাই হোলকারের প্রেক্ষাপটে কথা বলেছেন, এবং যদি নারীরা রানি লক্ষ্মীবাইয়ের মতো লড়াই করতেন, তাহলে হতাহত কম হতো। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্নিবীর প্রকল্প এই ধরনের পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্ষতি কমাতে পারত। তবে তাঁর এই বক্তব্যকে বিরোধীরা শহীদদের পরিবারের প্রতি আসাম্মান বলে অভিহিত করেছে।

এই বিতর্কের পর জাঙ্গড়া হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, “আমাদের সেনা সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ও মাস্টারমাইন্ড ধ্বংস করেছে।” বিরোধী দলগুলি বিজেপির কাছে এই মন্তব্যের জন্য কঠোর পদক্ষেপ ও জবাবদিহি দাবি করেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *