চীনের আধিপত্য ভাঙতে ভারতের মাস্টারপ্ল্যান, আমেরিকা-ইউরোপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিপ্লব!

ভারত ওষুধ শিল্পে চীনের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে প্রস্তুত। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে চলমান শুল্ক যুদ্ধ এবং ইউরোপের সঙ্গে চীনের ক্রমশ খারাপ সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে ভারত এগিয়ে চলেছে। ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কো ম্পা নিগুলি দ্রুত ওষুধ উৎপাদন বাড়াচ্ছে এবং বিদেশী কো ম্পা নির সঙ্গে বড় চুক্তি করছে। বিশ্ববাজারে ভারতীয় ওষুধের জনপ্রিয়তা এবং নির্ভরযোগ্যতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা চীনের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হায়দ্রাবাদের সুভেন ফার্মাসিউটিক্যালস সম্প্রতি আমেরিকার এনজে বায়ো ইনকর্পোরেটেড অধিগ্রহণ করেছে ৫৬৪ কোটি টাকায়, যা ক্যান্সারের ওষুধ গবেষণায় বিশেষজ্ঞ। এই অধিগ্রহণ ভারতকে সিডিএমও (কন্ট্রাক্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অর্গানাইজেশন) বাজারে শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে, যেখানে কো ম্পা নিগুলি ওষুধ উৎপাদন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সব করে।
অন্যদিকে, বায়োকনের সিনজিন ইন্টারন্যাশনাল আমেরিকার বাল্টিমোর-ভিত্তিক এমার্জেন্ট বায়ো সলিউশনস অধিগ্রহণ করেছে ৩৬.৫ মিলিয়ন ডলারে, যা জিন ও প্রোটিন-ভিত্তিক ওষুধ তৈরিতে বিশেষজ্ঞ। ভারতের সিডিএমও কো ম্পা নিগুলি আমেরিকা ও ইউরোপে ক্যান্সার ও জিন থেরাপির ক্ষেত্রে উন্নত কো ম্পা নি অধিগ্রহণের মাধ্যমে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করছে। চীনের সরবরাহ শৃঙ্খলের উপর বিশ্বের নির্ভরতা কমছে, এবং পশ্চিমা দেশগুলি ভারতের মতো নির্ভরযোগ্য অংশীদারের দিকে ঝুঁকছে। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওষুধের দাম কমানোর নির্দেশ ভারতের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে, কারণ পশ্চিমা ফার্মা কো ম্পা নিগুলি খরচ কমাতে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে। এই কৌশল ভারতকে ওষুধ শিল্পে বিশ্ব নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।