হঠাৎ নাগরিকত্ব বাতিল! কুয়েতে হাজারো নারীর জীবন বিপর্যয়ের মুখে

কুয়েতের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত হাজার হাজার নারীকে চরম বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সরকার ১৯৮৭ সালের পর বিয়ের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়া ৩৭,০০০ জনের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, যার মধ্যে ২৬,০০০ জন নারী। এই পদক্ষেপ শুধু তাদের পরিচয়ই কেড়ে নেয়নি, বরং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ ও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে। বিশেষ করে কুয়েতি পুরুষদের বিয়ে করা বিদেশী নারীরা এখন চরম সংকটে। উদাহরণস্বরূপ, জর্ডানের এক নারী কুয়েত সিটিতে কেনাকাটার সময় জানতে পারেন তার অ্যাকাউন্ট জব্দ ও নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে। এমন অগণিত গল্প কুয়েতে ছড়িয়ে পড়েছে, যা নারীদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে। এই সিদ্ধান্ত মানবাধিকার ও লিঙ্গ সমতার প্রশ্ন তুলেছে।
কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল আহমদ আল সাবাহর দৃষ্টিভঙ্গি এই নীতির পিছনে মূল কারণ। তিনি বলেন, দেশের ৫০ লাখ জনসংখ্যার মাত্র এক-তৃতীয়াংশই “প্রকৃত কুয়েতি”। তিনি “মূল কুয়েতি” পরিচয় সংরক্ষণের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফলে, নাগরিকত্ব হারানো নারীরা স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সিদ্ধান্ত কুয়েতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। ক্ষতিগ্রস্তরা আইনি লড়াইয়ের পরিকল্পনা করলেও সরকারের অবস্থান এখনও অস্পষ্ট। এই সংকট কীভাবে সমাধান হবে, তা ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।