ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতা? দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে চীনের জয়!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আমেরিকার বিদেশ নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে, যা এশিয়ায় মিত্র দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন প্রায় ২৮,৫০০ মার্কিন সৈন্যের মধ্যে ৪,৫০০ জনকে প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে। এই সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসনের দ্বার খুলে দিতে পারে এবং ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব বাড়াতে পারে। ভারতের মতো আমেরিকার মিত্ররাও এই পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন, কারণ এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। পেন্টাগনের এক মুখপাত্র এই পরিকল্পনা অস্বীকার করেননি, তবে জানিয়েছেন যে এখনও কোনও চূড়ান্ত ঘোষণা হয়নি। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ থেকেই তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় সৈন্য কমানোর কথা বলে আসছেন, যা এশিয়ায় আমেরিকার মিত্রদের মধ্যে আস্থার সংকট তৈরি করছে।
এই সিদ্ধান্তের প্রভাব শুধু দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার উপরই নয়, বরং অর্থনৈতিক ও কৌশলগত ক্ষেত্রেও পড়তে পারে। মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে এবং চীনের আঞ্চলিক প্রভাব বাড়াতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার কথা অস্বীকার করেছে, তবে যৌথ প্রতিরক্ষা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জেনারেল জাভিয়ের ব্রুনসনের মতো সামরিক কমান্ডাররা সতর্ক করেছেন যে, সৈন্য হ্রাস উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় সংঘাতের ক্ষেত্রে আমেরিকার ক্ষমতাকে দুর্বল করবে। জাপান, ফিলিপাইন এবং তাইওয়ানের মতো মিত্ররাও এই সিদ্ধান্তে আস্থার সংকটে পড়তে পারে, যা ইন্দো-প্রশান্ত অঞ্চলে আমেরিকার নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে।