স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কে সন্দেহে বর্বর শাস্তি, মৃতদেহ আবর্জনার স্তূপে পুঁতে ফেলল স্বামী

উত্তর প্রদেশের কনৌজ জেলার কাচাটিপুর গ্রামে এক স্বামী তার স্ত্রীর ওপর অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহ থেকে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। রজনীকান্ত নামের ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রী বাবলির দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। শুক্রবার রাতের বিবাদ ঘিরে রজনীকান্তের ক্রোধ আকাশছোঁয়া হয়, এবং পাথর দিয়ে স্ত্রীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে, পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর ঘটনাস্থলের নিকটে থাকা আবর্জনার স্তূপে মৃতদেহ পুঁতে যান তিনি।
৮ বছর আগে বিয়ে হওয়া দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রজনীকান্ত প্রায়ই স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কে সন্দেহ করে ঝগড়া করতেন। এই সন্দেহের তীব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে, অবশেষে তিনি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেন। অভিযুক্ত স্বামী নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সুপার অজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। নিহতের ভাই অভিযোগ করেছেন, “আমাদের কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। যখন বোনের সঙ্গে কথা বন্ধ হয়ে যায়, সন্দেহ জন্মে।” পুলিশ ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করবে বলেও জানিয়েছেন। এই ঘটনা আবারও তুলে ধরেছে পারিবারিক কলহ থেকে সৃষ্টি হওয়া ভয়াবহ সহিংসতার কাহিনী।