কিডনি খারাপের প্রথমেই যা নজরে আসে: শরীরে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত

কিডনি আমাদের শরীরের দুটি রাজমার আকারের অঙ্গ, যাদের আকার প্রায় মুঠির সমান এবং কোমরের পেছনে রিবের নিচে অবস্থিত। কিডনির প্রধান কাজ হল রক্ত পরিশোধন ও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়া। এটি শরীরের বর্জ্য পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে নির্গত করে।
যখন কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, তখন এই কার্যক্রমে বাধা পড়ে এবং এর প্রভাব পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ মানুষের দুটি কিডনি থাকে, তবে কারো কারো একটাই থাকে, যেটি ঠিকঠাক কাজ করলে কোনো সমস্যা হয় না।
প্রথমে প্রকাশ পায় যেসব লক্ষণ
কিডনি সমস্যা শুরু হলে অনেক সময় লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় লাগে। তবে যখন কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যায়, শরীরের নানা অংশে তার প্রভাব দেখা দেয়। কখনো স্কিন থেকে শুরু করে হৃদস্পন্দন পর্যন্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এই লক্ষণগুলো খুবই হালকা থাকে, তাই সেগুলো নজর এড়িয়ে যায়।
কিডনি সমস্যা শুরুতে প্রধান তিনটি লক্ষণ হলো:
- মূত্রের স্বভাব বদলানো (যেমন বেশি বা কম মূত্র হওয়া)
- নিয়মিত ক্লান্তি অনুভব করা
- ত্বকে এলার্জি ও চুলকানি দেখা দেওয়া
অতিরিক্ত কিছু লক্ষণ যেমন শরীরে ফোলা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ঘুমে সমস্যা, বমি বমি ভাবও দেখা দিতে পারে।
করণীয়
এই প্রাথমিক লক্ষণ দেখা মাত্রই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ কিডনি সমস্যা হলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করতে অসুবিধা হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো জলর পরিমাণ কমাতে হতে পারে এবং খাদ্যাভাসে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তবে কিডনির যত্নে আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
কিডনির সমস্যার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু করলে সম্পূর্ণ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই শরীরের সংকেতকে উপেক্ষা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সাহায্য নিন।