আত্মহত্যা না হত্যা? পুণেতে দগ্ধ অবস্থায় নারী ও দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার, তদন্ত শুরু

মহারাষ্ট্রের পুণে জেলার শিরুর তালুকার রঞ্জনগাঁও এলাকায় এক ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এসেছে। খন্ডালা মালা এলাকায় এক নারী ও তার দুই ছোট সন্তানের দগ্ধ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, এই তিনটি মৃতদেহে আগুন লাগানোর আগে পেট্রোল ঢেলে দগ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে চলমান বৃষ্টির কারণে দেহগুলি সম্পূর্ণ দগ্ধ হয়নি।
মৃত নারীটির বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং তার দুই সন্তানের বয়স যথাক্রমে ৪ বছর ও দেড় বছর। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে, আত্মহত্যা নাকি হত্যা— তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে।
পুণে পুলিশ রবিবার সকালে শিরুর তালুকার রঞ্জনগাঁওয়ের কাছে পুণে-অহিল্যানগর হাইওয়ের পাশে ওই নারীর এবং দুই শিশুর আংশিকভাবে দগ্ধ মৃতদেহ পাওয়ার পর হত্যা মামলা রুজু করেছে। পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনাটি হত্যার মতোই মনে হচ্ছে।
তিনটি মৃতদেহ পুণে-অহিল্যানগর হাইওয়ে থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে খন্ডেল গ্রামে পাওয়া গেছে। স্থানীয় রাজস্ব দফতরের কর্মকর্তার কাছ থেকে সকালে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুণে গ্রামীণ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ পাটিল জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত চলছে।
পুলিশ সুপার (পুণে গ্রামীণ) সন্দীপ সিং গিল বলেছেন, খবর পেয়ে তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলি আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অপরাধীরা সাক্ষ্য মুছে ফেলার জন্য দেহগুলিতে জ্বালানি ব্যবহার করেছে। এই ঘটনার জন্য হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।