আমরা যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আছি: বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস নিজের কার্যকাল বাড়ালেন এক বছর

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস অবশেষে চলমান রাজনৈতিক চাপের মুখে নিজের পদ থেকে সরে যাওয়ার সময়সীমা ঘোষণা করেছেন। দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল যখন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দাবি করছিল, তখন ইউনুস জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুন-এর মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তিনি সেই তারিখের পর আর একদিনও পদে থাকবেন না।
পেছনের কয়েক মাসে ইউনুসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও জনবিক্ষোভ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, গত বছর আগস্ট থেকে ক্ষমতায় এসে অনির্বাচিতভাবে সময় বাড়িয়ে নিচ্ছেন। তবে এই উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেও তিনি কার্যত এক বছর সময় বাড়িয়ে নিলেন। তিনি বলেছেন, “আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আছি। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য।”
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত
রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা জমুনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর ইউনুস এই ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপস্থিত নেতারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়ে জোরালো দাবি তোলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, দেশের বর্তমান অস্থিরতা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর করতে অবিলম্বে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার গঠনের পথ খুলে দিতে হবে।
“একটি চক্রান্ত চলছে” — ইউনুসের হুঁশিয়ারি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল জানান, ইউনুস বৈঠকে বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে। আমাদের এই ষড়যন্ত্র থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।**”
তিনি আরো বলেন, “দেশের ভেতরে ও বাইরে থেকে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। একমাত্র জাতীয় ঐক্যই এই ষড়যন্ত্রের জবাব হতে পারে।”