মধ্যপ্রদেশে প্রেমিকের ছুরি হামলায় গুরুতর আহত মহিলা, হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের

মধ্যপ্রদেশে প্রেমিকের ছুরি হামলায় গুরুতর আহত মহিলা, হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের

মধ্যপ্রদেশের जबलपुरে এক বিবাহিত মহিলা নিজের স্বামীকে ধোঁকা দিয়ে প্রেমিকের প্রতি বিশ্বাস রাখায় বড় বিপদের মুখে পড়েছেন। পাশের বাড়ির প্রেমিকের সঙ্গে বাগি বাঁধের কাছে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় মহিলার ওপর তার উগ্র প্রেমিক ছুরি দিয়ে একাধিক হামলা চালায়। কারণ, মহিলা প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিলেন। হামলার পর মহিলা গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মহিলার অবস্থা নাজুক বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। হামলার সময় মহিলার কোলে ছিল তার ২ বছর বয়সী কন্যাশিশু, যিনি মায়ের উপর হামলা হতে দেখেই চিৎকার করে ওঠে। ঘটনা ঘটে বলদেববাগ এলাকার কবিতা গুপ্তা নামের মহিলার সঙ্গে, যিনি বিবাহিত ও দুই বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তানের মা।

বিয়ের চাপ নিতে অস্বীকার, প্রেমিকের ব্ল্যাকমেল ও হামলা
কবিতার সঙ্গে পাশের বাড়ির নমন বিশ্বকর্মার প্রেম সম্পর্ক তিন বছর ধরে চলছিল। নমন বারবার কবিতাকে স্বামী ছেড়ে তার সঙ্গে বিয়ে করার মানসিক চাপ দিয়ে আসছিল এবং ব্ল্যাকমেল করছিল। কবিতা বলছেন, তার একটি ছোট মেয়ে আছে, তাই সে নমনকে বিয়ে করতে চায় না। রবিবার কবিতা ও তার মেয়ে নমনকে নিয়ে বাগি বাঁধে গিয়েছিলেন। সেখানে বিয়েকে কেন্দ্র করে বাক্যালাপের একপর্যায়ে কবিতা পরিষ্কার অস্বীকার করেন। নমন রেগে গিয়ে ছুরি বের করে সাতবার কবিতার শরীরে ছুরিকাঘাত চালায়।

হত্যা চেষ্টা মামলায় অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ
ঘটনার পর নমন পালিয়ে যায়। আহত কবিতাকে পথচারীরা উদ্ধার করে পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেয়। পুলিশ কবিতাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কবিতার অবস্থা গুরুতর। বরগি থানার ইনচার্জ সারিতা প্যাটেল জানান, কবিতার বক্তব্যের ভিত্তিতে নমন বিশ্বকর্মার বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।

কবিতা গুপ্তা হাসপাতালে পুলিশকে বলেছেন, “আমি ও নমন তিন বছর ধরে সম্পর্কে ছিলাম। সে আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। আমি যখন স্পষ্ট অস্বীকার করলাম, তখন সে আমাকে ছুরিকাঘাত করল। আমি আমার স্বামী থেকে দূরে চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু নমনের আচরণ জোরপূর্বক এবং হিংস্র হয়ে উঠেছিল।” পুলিশ গোটা ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *