জবলপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা- ট্রাকের সাথে বাইকের সংঘর্ষ, মামা-ভাগ্নে সহ তিনজনের মৃত্যু

রবিবার মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের সিহোরা থানা এলাকার মানসাকারা গ্রামের কাছে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, যেখানে একই বাইকে থাকা এক চাচা-ভাতিজাসহ তিন যুবকের মৃত্যু হয়। হাইওয়েতে দ্রুত গতিতে চলা ট্রাক চালক হঠাৎ ব্রেক কষলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পেছনে থাকা বাইকটি একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যার ফলে ঘটনাস্থলেই কাকা মারা যান। যেখানে ভাগ্নে এবং অন্য এক যুবক মেডিকেল হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান।
তথ্য অনুযায়ী, কাটনি জেলার মুদওয়ারার বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী সত্যম প্যাটেল, তার বন্ধু ২০ বছর বয়সী শালু ওরফে শচীন প্যাটেল এবং ১৩ বছর বয়সী ভাগ্নে সানি প্যাটেলকে নিয়ে বাইকে করে হারদুয়া কালায় তাদের বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। যখন সে মানসাকারা মোড়ের কাছে জাতীয় মহাসড়কে পৌঁছালো। তারপর হঠাৎ ট্রাক চালক ব্রেক কষলেন। ট্রাকের গতি বেশি থাকার কারণে, সত্যমের পিছনে থাকা বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ এতটাই তীব্র ছিল যে সত্যমের মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে গাড়ি রেখেই পালিয়ে যায় ট্রাক চালক।
দুর্ঘটনার সময়, পিছনে থাকা শালু এবং সানি প্যাটেলও রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন। তবে, দুজনকেই তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য জব্বলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এর আগেই দুজনেই মারা যান। ঘটনার পর অভিযুক্ত ট্রাক চালক গাড়িটি ঘটনাস্থলেই রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং ট্রাক চালকের খোঁজ শুরু করেছে।
জব্বলপুর পুলিশ একটি নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে
জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে, কিন্তু মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে, জব্বলপুর পুলিশ একটি নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে। অতিরিক্ত এসপি ট্রাফিক সোনালী দুবে বলেন, এখন পুলিশ সরকারি অফিসে যাবে এবং হেলমেট পরার জন্য মানুষকে সচেতন করবে। এছাড়াও, হেলমেট ছাড়া যারা অফিসে আসবেন তাদের বিরুদ্ধেও চালান ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, পুলিশ কোচিং সেন্টার, স্কুল এবং কলেজ পরিদর্শন করবে যাতে তরুণদের ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা এবং হেলমেট পরার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা যায়। কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে সড়ক নিরাপত্তা কেবল পুলিশের নয়, বরং সমাজের প্রতিটি নাগরিকেরও দায়িত্ব।