গরমকালে কিডনি স্টোনের ঝুঁকি ও লক্ষণ, কী ভাবে সাবধান থাকা উচিত

গরমের মৌসুমে কিডনি স্টোন বা বৃক্ক পাথরের সমস্যার অভিযোগ হঠাৎ বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মূল কারণ হল ডিহাইড্রেশন বা শরীরে জলর ঘাটতি। যখন প্রচুর ঘাম বের হয় এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল নেওয়া হয় না, তখন প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে প্রস্রাবের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম, অক্সলেট এবং ইউরিক এসিডের মতো উপাদানগুলো কিডনিতে জমা হয়ে পাথরের আকার ধারণ করে। কিডনি আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং অতিরিক্ত মিনারেল বের করে দেয় প্রস্রাবের মাধ্যমে। কিন্তু জলর অভাব হলে এই মিনারেলগুলো কিডনিতেই জমে ছোট ছোট স্ফটিকে পরিণত হয়, যা পরে পাথরে রূপান্তরিত হয়। গরমে এই প্রক্রিয়া দ্রুত হয় কারণ ঘাম বেশি হওয়ায় শরীরে তরল পদার্থের ঘাটতি হয়।
কিডনিতে পাথরের প্রাথমিক লক্ষণ কী কী?
পাথরের সমস্যা শুরু হলে পেটের নিচু অংশ বা পিঠে তীব্র ব্যথা, প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বা ব্যথা, প্রস্রাবের রঙ গাঢ় হওয়া বা রক্ত পড়া, এবং বারবার প্রস্রাবের তীব্র অনুভূতি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়। এই সব লক্ষণ উপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। গরমে ঘাম বেশি হওয়ায় শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়। পর্যাপ্ত জল না পেলে প্রস্রাবে মিনারেলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা পাথরের কারণ হয়। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করা জরুরি।
যাদের আগে থেকেই কিডনি স্টোনের সমস্যা আছে, তাদের করণীয়
যাদের কিডনি স্টোনের ইতিহাস রয়েছে, তাদের নিয়মিত প্রস্রাবের পরীক্ষা ও আল্ট্রাসাউন্ড করানো উচিত। ডাক্তারের পরামর্শমতো ওষুধ সময়মতো খেতে হবে এবং তেলে ভাজা ও প্রসেসড খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। গরমে পাথরের ঝুঁকি কমাতে হাইড্রেশনের দিকে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। সুষম খাবার, সক্রিয় জীবনযাপন ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এই সমস্যাকে অনেকটাই প্রতিরোধ করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক তথ্য ও সতর্কতা হল কিডনিকে সুস্থ রাখার মূল চাবিকাঠি।