ইউপিতে বিদ্যুৎ বিপর্যয় আশঙ্কা, ৫০০০ ইঞ্জিনিয়ারকে UPPCL-এর নোটিশ

উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদে বিদ্যুৎ কর্মচারীরা ২৯ মে থেকে অনির্দিষ্টকালীন কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ পেতেই প্রশাসন ও সরকারী দপ্তরগুলোতে তৎপরতা বাড়ছে। কর্মীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং তাদের আন্দোলন বন্ধ করার জন্য উত্তর প্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (UPPCL) প্রায় ৫০০০ ইঞ্জিনিয়ারকে নোটিশ পাঠিয়েছে, যাতে তারা এই ধর্মঘটের সঙ্গে না যুক্ত হন।
UPPCL সতর্ক করেছে, কেউ যদি ধর্মঘটে যোগ দেয় বা অন্যকে এতে প্ররোচিত করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০ ও ২১ মে শক্তি ভবনে অনুষ্ঠিত আন্দোলনে বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা ভিডিও প্রমাণের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির পর থেকেই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোতে অবস্থা চাঞ্চল্যকর।
২৯ মে থেকে বিদ্যুৎ কর্মচারীদের ধর্মঘট, বড় সমস্যা আসছে?
UPPCL জানিয়েছে, ২৯ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি একটি হরতালেই পরিণত হবে, যা রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যদি ইঞ্জিনিয়াররা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন বা অন্যদের প্ররোচিত করেন, যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে, তাহলে এটিকে সমাজ বিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য করে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আন্দোলন ও নোটিশ: পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত
UPPCL-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্দোলনের সময় বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে যারা বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের বক্তব্যকে তারা ভিত্তিহীন বলে মনে করছে এবং এটিকে কর্পোরেশন ও সরকারের নীতির বিরুদ্ধে মনে করছে। ২৯ মে থেকে শুরু হতে চলা ধর্মঘটে অংশ নেওয়া এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করাকে হরতাল হিসাবে গণ্য করা হবে এবং সরকারি অফিসের বাইরে প্রতিবাদ করলে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া যারা গত ছয় মাসে একবারও শক্তি ভবনে আসেননি, তাদেরকেও সংঘর্ষ কমিটির পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ কমিটির সমন্বয়কারী শৈলেন্দ্র দুবে জানান, এই নোটিশ প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়াররাও সংগঠনের দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে।
4.1-mini