লাখ টাকার বেতন ছেড়ে কীভাবে জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় হলেন তিনি? ভাইরাল হলো অনুপ্রেরণামূলক গল্প

সামাজিক মাধ্যমে এমন অনেক গল্প আসে, যেগুলো মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সম্প্রতি এক অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে, যেখানে এক ব্যক্তি লাখ টাকার স্যালারির কর্পোরেট চাকরি থেকে জীবন বদলে ফেলেছেন ডেলিভারি বয় হিসেবে। LinkedIn-এ শ্রীপাল গান্ধী নামের এক ইউজার এই গল্প শেয়ার করেছেন।
গল্পটি এমন: শ্রীপাল একটি সাবওয়ে লাঞ্চ অর্ডার করেছিলেন, যেখানে পনির টিক্কা স্যান্ডউইচ, বিংগো চিপস ও ওট কিশমিশ কুকিজ ছিল। তবে ডেলিভারি বয় শুধুমাত্র স্যান্ডউইচ দিয়েছিলেন, বাকি আইটেম গায়েব ছিল। শ্রীপাল বিষয়টি জানানোর পর ডেলিভারি বয় ভীষণ ভাবে দুঃখিত হন এবং বিনীতভাবে বললেন, ‘রেস্টুরেন্ট বা জোম্যাটোর সাথে যোগাযোগ করুন।’ পরে জানা যায়, ভুলটি সাবওয়ের পক্ষ থেকে। তারা ডেলিভারি বয়কে ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল এবং সমস্যার জন্য ২০ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।
কিন্তু ডেলিভারি বয় সেটি নিতে অস্বীকার করেন, কারণ তিনি চান গ্রাহক খুশি থাকুক এবং এটিই তার দায়িত্ব। পরে তিনি চিপস ও কুকিজ নিয়ে হাসিমুখে ফিরে আসেন।
দুর্ঘটনার পরও হার মানেননি, জোম্যাটোই দিয়েছে নতুন জীবন
ডেলিভারি বয় জানান, আগে তিনি কনস্ট্রাকশন সুপারভাইজার ছিলেন এবং মাসে ১.২৫ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন। কিন্তু এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তার বাম পাশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয় এবং চাকরি হারান।
শ্রীপাল বলেন, একসময় তিনি হার মেনেছিলেন, কিন্তু জোম্যাটো তাকে সুযোগ দিয়েছে। ডেলিভারি বয় বলেন, “জোম্যাটো আমার পরিবারকে বাঁচিয়েছে। আমি কখনো তাদের নাম কলঙ্কিত হতে দেব না।”
তার মেয়েও ডেন্টাল পড়াশোনা করছে। তিনি শুধু টাকা কামানোর জন্যই নয়, মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্যও সাইকেল চালান। জীবন নিয়ে তার অভিযোগ নেই, কারণ তার পাশে ঈশ্বর আছেন।
শ্রীপাল পোস্টের শেষে জোর দিয়ে বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাজ দেওয়া এবং তাদের জীবনে ইতিবাচকতা আনার জন্য জোম্যাটোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।