পাকিস্তানে খাদ্য সংকট: বিশ্বব্যাংক ফাঁস করল শাহবাজ সরকারের ব্যর্থতা

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থা এখন গোটা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট। বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন পাকিস্তানের শাহবাজ সরকারের ব্যর্থতাকে উন্মোচিত করেছে, যেখানে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করার মতো আর্থিক সামর্থ্য সরকারের নেই। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এবং অন্যান্য দেশের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল এই দেশটি গভীর সংকটে নিমজ্জিত। তবুও, পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের দারিদ্র্য বৃদ্ধিতে সাধারণ বিক্রয় কর (জিএসটি) সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে, যা সমাজের দরিদ্র ও দুর্বল শ্রেণীর জন্য জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
‘পাকিস্তানে বৈষম্য ও দারিদ্র্যের উপর কর ও স্থানান্তরের প্রভাব’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে কর-পূর্ব ব্যয়ের ৭ শতাংশেরও বেশি জিএসটি হিসেবে প্রদান করা হয়, যা দারিদ্র্য বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়াও, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষার ব্যয় বৈষম্য বাড়িয়ে তুলছে। তবে, বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম (বিআইএসপি) দরিদ্রতম পরিবারগুলোর জন্য মাসিক নগদ সহায়তা প্রদান করে বৈষম্য কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-এর উদ্ধৃতি অনুসারে, বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদন স্পষ্টভাবে দেখায় যে জিএসটি এবং অন্যান্য রাজস্ব নীতি দেশের অর্থনৈতিক অবনতির জন্য দায়ী।