পাকিস্তান মানেই সন্ত্রাসের আশ্রয়: সিওলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা

পাকিস্তান মানেই সন্ত্রাসের আশ্রয়: সিওলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা

বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার প্রমাণ তুলে ধরতে ভারতের কৌশলগত উদ্যোগে গঠিত হয়েছে সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। সম্প্রতি এই প্রতিনিধিদলের একটি দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে পৌঁছেছে, যেখানে তারা আন্তর্জাতিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।

এই সফরে অংশ নিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় ঝা। ২৪ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত চলা এই সফরে সিওলের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাকিস্তানকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দেওয়া মানেই সন্ত্রাসবাদকে সহায়তা করা। পহেলগাঁও হামলার পর এটা শুধু ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়, বরং এখন এটি বৈশ্বিক নিরাপত্তারও ইস্যু।” তিনি আরও বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য ঠিক যেমন স্বর্গ ও নরকের মধ্যে।”

“ভারতের অগ্রগতি পাকিস্তানের সহ্য হয় না”: মন্তব্য সালমান খুরশিদের

আলোচনায় কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ বলেন, “পাকিস্তান কখনোই চায় না যে ভারত আর্থিকভাবে শক্তিশালী হোক। পহেলগাঁও হামলা সেই মানসিকতারই প্রতিফলন।” তিনি জানান, কাশ্মীর ধীরে ধীরে শান্তি, উন্নয়ন ও পর্যটনের পথে এগোচ্ছিল। কিন্তু এই হামলা করে পাকিস্তান বোঝাতে চায় যে কাশ্মীর এখনও অশান্ত।

উল্লেখযোগ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে এক জঙ্গি হামলায় ২৬ জন পর্যটক প্রাণ হারান। তার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিন্ধুর’ পরিচালনা করে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি ধ্বংস করে। এরপর থেকেই ভারত বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানের আসল চেহারা তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *