ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতায় আফ্রিকা বিপর্যয়ের মুখে?

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতির পরিবর্তন আফ্রিকার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থার মতোই আফ্রিকার দুর্বল দেশগুলো এখন আমেরিকার কমে যাওয়া সমর্থনের কারণে সংকটের মুখে। আগে যেখানে আমেরিকা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও সুশাসনের উপর জোর দিত, সেখানে এখন ট্রাম্প প্রশাসন তাদের মিত্রদের নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে বলছে। ‘আফ্রিকান লায়ন’ নামক মার্কিন সেনাবাহিনীর বৃহৎ প্রশিক্ষণ মহড়ায় এই পরিবর্তন স্পষ্ট। জেনারেল মাইকেল ল্যাংলি জানিয়েছেন, আফ্রিকান দেশগুলোকে এখন স্বাধীনভাবে অভিযান চালানোর সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এই নীতি রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মধ্যে আফ্রিকাকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন এবং পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডন-এর তথ্য অনুসারে, আমেরিকার এই নতুন অবস্থান আফ্রিকার দুর্বল সরকারগুলোর জন্য হুমকি। আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আফ্রিকায় তাদের প্রভাব বাড়াচ্ছে, বিশেষ করে সাহেল অঞ্চল ও সোমালিয়ায়। ২০২৪ সালে সাহেলে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি সন্ত্রাসী হামলায় মৃত্যু ঘটেছে। সোমালিয়ায় মার্কিন বিমান হামলা বৃদ্ধি পেলেও, স্থানীয় সেনাবাহিনী এখনও স্থলভাগে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ। বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রামের মতো সামাজিক সহায়তা কর্মসূচি পাকিস্তানে বৈষম্য কমালেও, আফ্রিকায় আমেরিকার হ্রাসপ্রাপ্ত সমর্থন সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দিতে পারে। এই পরিস্থিতি আফ্রিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে।