ক্লাউড কম্পিউটিং কি? জানুন এই ক্ষেত্রের চাকরির সম্ভাবনা ও কোর্সের সুযোগ

ক্লাউড কম্পিউটিং: ভবিষ্যতের ক্যারিয়ার গড়ার নতুন দিগন্ত
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে কাজের ধরণ বদলে গেছে। আজকের যুগ একদমই ডিজিটাল এবং এই কাঠামোর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। এর মাঝেই ক্লাউড কম্পিউটিং নামক প্রযুক্তি গত কয়েক বছরে তীব্রভাবে আলোচনায় এসেছে।
সহজ ভাষায়, ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য রিসোর্স স্টোর ও পরিচালনার একটি আধুনিক পদ্ধতি। পূর্বে অফিসে সার্ভার রুমে তথ্য সংরক্ষণ করা হতো, আর এখন সেই কাজ ক্লাউড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে করা হয়।
বিশ্বজুড়ে চাহিদা, ২০২৫ পর্যন্ত ১৪ মিলিয়ন নতুন চাকরি
গবেষণা বলছে, ২০২১ সালে ক্লাউড কম্পিউটিং মার্কেটের মূল্য ছিল ৩৬৮.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১৭ গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে। আইডিসি-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১৪ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৪০ লক্ষ নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে এই খাতে।
এই বৃদ্ধির মূল কারণ হলো ক্লাউড কম্পিউটিং যেকোনো সেক্টরকে তাদের ডেটা সহজে অনলাইনে অ্যাক্সেস করার সুযোগ করে দেয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা—সবক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বাড়ছে। বর্তমানে একজন ক্লাউড এক্সপার্ট গড়ে বছরে ₹৭.২ লাখ পর্যন্ত আয় করছেন।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার পথ
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা যায় উচ্চমাধ্যমিক (১২শ) পাশ করার পর থেকেই। আজ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই বিষয়ে বিভিন্ন কোর্স চালু করেছে। ছাত্রছাত্রীরা চাইলে ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ার, ক্লাউড আর্কিটেক্ট, ক্লাউড ডেভেলপার, ক্লাউড সিকিউরিটি এক্সপার্ট কিংবা ক্লাউড কনসালট্যান্ট হিসেবে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
এই ক্ষেত্র ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে, ফলে দক্ষতা অর্জন করলে চাকরির সুযোগ ও বেতন দুই-ই বাড়বে।