ধীরে ধীরে পা বাড়াচ্ছে করোনা, নতুন ভ্যারিয়েন্টে তামিলনাড়ু-গুজরাটে সংক্রমণ

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা। সম্প্রতি দেশটির তামিলনাড়ু ও গুজরাট রাজ্যে করোনার দুই নতুন ভ্যারিয়েন্ট NB-1.8.1 ও LF-7-এর সন্ধান মিলেছে। এই খবরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ আইসিএমআর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এই দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন-এর অন্তর্ভুক্ত এবং ২০২২ সালেও সক্রিয় ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভ্যারিয়েন্টগুলো ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনে একাধিক রূপান্তর ঘটায়, যার ফলে এটি খুব সহজেই একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ফলে এই ভ্যারিয়েন্টগুলো দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম।
INSACOG-এর তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে তামিলনাড়ুতে NB-1.8.1-এর একটি কেস ধরা পড়ে এবং মে মাসে গুজরাটে LF-7-এর চারটি কেস শনাক্ত হয়। বর্তমানে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টিরও বেশি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগও এই ভ্যারিয়েন্টগুলোর গতিবিধি নজরে রাখছে। যদিও অনেক দেশে সংক্রমণের হার বেশি, তবুও মৃত্যুহার অত্যন্ত কম।
আতঙ্ক নয়, সতর্কতা জরুরি
গাজিয়াবাদের জেলা পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা ডা. রাকেশ কুমার গুপ্ত জানান, ডব্লিউএইচও এই দুই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ও তীব্রতা পর্যবেক্ষণ করছে। এখন পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যা বলছে এই ভ্যারিয়েন্টগুলো আগের তুলনায় বেশি বিপজ্জনক। আক্রান্তদের অধিকাংশই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।
তিনি আরও বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকা জরুরি। বর্তমানে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, রাজস্থান ও দিল্লি এনসিআর-এ নতুন করোনা কেস রিপোর্ট হয়েছে। উপসর্গ হিসেবে হালকা সর্দি-কাশি ও ফ্লুর মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।