পাকিস্তানের গোপন জৈব অস্ত্র পরিকল্পনা? ভারত জোরদার করছে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মার্কিন ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে ভয়াবহ আশঙ্কা—পাকিস্তান জঙ্গি সংগঠনের হাতে জৈব অস্ত্র তুলে দিতে পারে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বায়োলজিক্যাল ওয়েপন কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী ১৮৯টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে, যাদের জৈব অস্ত্র তৈরি, সরবরাহ বা প্রয়োগ নিষিদ্ধ। তবু, মার্কিন রিপোর্টে সন্দেহ, ইসলামাবাদ সরাসরি নয়, বরং জঙ্গিদের মাধ্যমে এই নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। ভারত, যাকে পাকিস্তান প্রধান শত্রু মনে করে, এই রিপোর্ট পেয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা বলেন, “আমরা নজরদারি ও প্রশিক্ষণ বাড়িয়েছি। কোনও ঝুঁকি নেওয়া হবে না।”
চীনের সহযোগিতায় পাকিস্তান পরমাণু ও গণবিধ্বংসী অস্ত্রের প্রযুক্তি উন্নত করছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ। চীন-পাকিস্তান ইকনমিক করিডরের আড়ালে গোপন গবেষণাগার ও স্টোরেজ সুবিধার আশঙ্কা রয়েছে। মার্কিন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ডুয়েল ইউজ’ প্রযুক্তি হংকং, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী হয়ে পাকিস্তানে পৌঁছাচ্ছে। পাকিস্তানের কিরানা হিলসের আন্ডারগ্রাউন্ড পরমাণু সুবিধা ভারতের নজরে। লস্কর-ই-তৈয়বা, জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠী জৈব অস্ত্র হাতে পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছে, আর আল-কায়েদা ও আইএস ‘ডার্টি বম’ তৈরির লক্ষ্যে তৎপর।
১৯২৫ জেনিভা প্রোটোকল অনুযায়ী, জৈব অস্ত্র ব্যবহার আন্তর্জাতিক অপরাধ। তবে, জঙ্গি সংগঠন ‘নন-স্টেট অ্যাক্টর’ হওয়ায় তাদের সঙ্গে রাষ্ট্রের সংযোগ প্রমাণ করা কঠিন। ফলে, পাকিস্তান জঙ্গিদের মাধ্যমে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করলে সরাসরি দায় এড়াতে পারে। ভারতের কাছে এই আশঙ্কা গুরুতর। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অমিতাভ সিংহ বলেন, “জৈব অস্ত্রের হুমকি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করতে হবে।” আন্তর্জাতিক মঞ্চে জৈব অস্ত্র ও ‘ডার্টি বম’ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, আর ভারত সতর্ক পাহারায়।