জেল থেকে ছাড়া পেতে লালু সাহানির ‘অনশন কৌশল’, কঠোর পুলিশের জালে ব্যর্থ চেষ্টা

মালদহ: মালদহের সোনার দোকান লুটের কুখ্যাত গ্যাংস্টার লালু সাহানি জেল থেকে মুক্তি পেতে অনশনের কৌশল নিয়েছিল, কিন্তু পুলিশের কঠোর নজরদারিতে তার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। বিহারের কাটিহারের এই আন্তঃরাজ্য অপরাধী গত ১১ মার্চ মালদহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এরপর থেকে চাঁচল ও মালদহ সংশোধনাগারে বন্দি থাকা লালু সম্প্রতি জেলে ও পুলিশ লকআপে অনশন শুরু করে পুলিশকে চাপে ফেলার চেষ্টা করে। তবে, মালদহ পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, “লালুর মতো পান্ডাকে হেফাজতে পাওয়া আমাদের বড় সাফল্য। তার ব্ল্যাকমেল কৌশল কাজ করেনি। আমরা আইনি পথে তাকে দীর্ঘমেয়াদে আটকে রাখব।”
লালুর অপরাধের ইতিহাস ভয়াবহ। কিশোর বয়সে অপরাধ জগতে পা রাখা লালু ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। ছাড়া পেয়ে বিহারের কিষাণগঞ্জের মৌলবী গ্যাংয়ে যোগ দেয়। মৌলবী গ্রেপ্তার হলে নিজেই গ্যাং তৈরি করে লালু, যা বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে লুটপাট চালায়। মতবিরোধে সহযোগীকে খুন করা থেকে ব্র্যান্ডেড সোনার দোকান টার্গেট করা—লালুর অপরাধের তালিকা দীর্ঘ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিহার পুলিশের তাড়া ও পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার এড়াতে সে ঝাড়খণ্ডে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল, সঙ্গে সশস্ত্র রক্ষী নিয়ে ঘুরত।
পুলিশের লক্ষ্য এখন লালুর অপরাধী নেটওয়ার্ক ভাঙা। প্রদীপ যাদব জানান, “লালুর বিরুদ্ধে অপরাধের বিস্তারিত তথ্য আমাদের হাতে। তার মনোবল ভাঙতে ও গ্যাংকে নিষ্ক্রিয় করতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছি।” স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ সিং বলেন, “লালুর মতো অপরাধীকে জেলে রাখা জরুরি। এতে এলাকায় নিরাপত্তা বাড়বে।” পুলিশের এই কঠোর অবস্থানে লালু ফের খাওয়া-দাওয়া শুরু করলেও, তার জেলমুক্তির পথ এখন দুরূহ।