স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনায় চাকরি হারানোর আতঙ্ক, শুরু হতে পারে বিক্ষোভ

কলকাতা: রাজ্যে স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে পা বাড়ালেও, হাজার হাজার কর্মীর রুজিরুটি অনিশ্চয়তার মুখে। বিদ্যুৎ দফতরের এই উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং নেওয়ার প্রয়োজন হবে না, যা অফিস থেকেই ইন্টারনেট-সংযুক্ত স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। কিন্তু এর ফলে মিটার রিডারদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। এক ঠিকাদারি সংস্থার প্রতিনিধি জানান, “স্মার্ট মিটার বসানো শেষ হলে আমাদের প্রায় দেড় হাজার কর্মী চাকরি হারাবেন। আমরা আন্দোলনের পথে হাঁটতে বাধ্য হব।”
কলকাতা শহরেই প্রায় হাজার খানেক কর্মী, যারা ঠিকাদারি সংস্থার মাধ্যমে মিটার রিডিংয়ের কাজ করেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। স্থানীয় কর্মী অজয় মণ্ডল বলেন, “আমাদের জন্য বিকল্প কাজের কোনও আশ্বাস নেই। স্মার্ট মিটার এলে আমাদের রুজি বন্ধ হয়ে যাবে।” বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও এই বিষয়ে সরব হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, “কাউকে জোর করে স্মার্ট মিটার নিতে বাধ্য করা যায় না। সরকার জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করছে।”
বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, স্মার্ট মিটার গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক। এই প্রিপেড মিটারে সিম কার্ডের মাধ্যমে খরচ, ভোল্টেজ ও ব্যবহারের হিসাব অফিস থেকেই নেওয়া যাবে। এক আধিকারিক বলেন, “গ্রাহকরা এর সুবিধা বুঝলে নিজেরাই এই মিটার বেছে নেবেন।” তবে, ৩০০ টাকা পর্যন্ত ঋণাত্মক ব্যালান্সেও বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও, রিচার্জ না করলে মিটার বন্ধ হয়ে যাবে। শহরাঞ্চল ও আশপাশে ইতিমধ্যে স্মার্ট মিটার বসানো শুরু হয়েছে, তবে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে।