পাঞ্জাবে মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, গুন্ডা আইন ২০২৫ নিয়ে বিতর্ক

পাঞ্জাবে মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, গুন্ডা আইন ২০২৫ নিয়ে বিতর্ক

কিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজের নেতৃত্বাধীন সরকার ‘গুন্ডা আইন ২০২৫’ নিয়ে এসেছিল, যা আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে প্রণীত। এই আইনের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী এবং কর্মকর্তাদের ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হতো। কিন্তু আইনটি বিধানসভায় উত্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিরোধী দলগুলো এটিকে ব্রিটিশ আমলের কুখ্যাত ‘রল্যাট অ্যাক্ট’-এর সঙ্গে তুলনা করে জনগণের অধিকার হরণের অভিযোগ তুলেছে। বিধানসভায় স্পিকার খান এবং বিরোধী সদস্যদের মধ্যে তীব্র বাক্যবিনিময়ের পর সভায় হট্টগোল শুরু হয়।
বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, মরিয়ম নওয়াজের সরকার “পিছনের দরজা দিয়ে আইনি কৌশল” প্রয়োগ করে জনগণের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। স্পিকার খান ঘোষণা করেছেন, “যে কোনো আইন জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করে বা গণতান্ত্রিক মানদণ্ডকে অগ্রাহ্য করে, আমরা তার বিরোধিতা করব।” তিনি মুখ্যমন্ত্রী মরিয়মের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এই আইন পর্যালোচনার জন্য সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানিয়েছেন। পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার আবুজার সালমান নিয়াজি কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “পাঞ্জাব সরকার একটি দখলদার ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি, যারা জনগণকে নাগরিক নয়, প্রজা হিসেবে বিবেচনা করে।” তিনি এই আইনকে তাদের “অবৈধ শাসন” বাঁচানোর প্রয়াস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
এই বিতর্ক মরিয়ম নওয়াজের সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে এই আইন পাস হতে না দেওয়ার শপথ নিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা পাঞ্জাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, বিশেষ করে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন-এর জন্য। এই আইনের বিরুদ্ধে জনগণের মধ্যেও ক্ষোভ বাড়ছে, যা সরকারের জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *