বিবাহবিচ্ছেদ ছাড়াই স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে, স্ত্রীকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী

বিবাহবিচ্ছেদ ছাড়াই স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে, স্ত্রীকে ফিরে পেতে পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী

উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার নন্দগঞ্জ থানা এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। স্বামী জীবিত থাকা সত্ত্বেও এবং আইনত বিবাহবিচ্ছেদ না হয়েও এক স্ত্রী দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করে নিজের স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।

ঘটনাটি গাজিপুর কোতোয়ালি এলাকার বয়পুর মঠিয়া গ্রামের। জানা গেছে, বয়পুর মঠিয়া গ্রামের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র কুমারের বিয়ে ২০১৯ সালে নন্দগঞ্জ থানা এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে হয়েছিল। বিয়ের পর রীতি অনুযায়ী বধূ শ্বশুরবাড়ি আসেন এবং সেখানে নিয়ম মেনে থাকতে শুরু করেন। দু’মাস শ্বশুরবাড়িতে থাকার পর তিনি বাপের বাড়ি চলে যান।

শ্বশুরবাড়ির লোক দ্বিতীয় বিয়ে দিলেন

বাপের বাড়িতে যাওয়ার পর ধর্মেন্দ্র তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজনের উপর ক্রমাগত চাপ দিতে থাকেন, কিন্তু তারা স্ত্রীকে পাঠাতে রাজি হননি। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই চলতি বছরের ১৮ মে, ধর্মেন্দ্রের শ্বশুর তার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ে নন্দগঞ্জ থানা এলাকার ধামুপুর ধরওয়া গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চমের সঙ্গে দিয়ে দেন। কারান্ডা থানা এলাকার চোচকপুর গ্রামের মৌনি বাবা মন্দিরে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

দ্বিতীয় স্বামী মারধর করে তাড়িয়ে দিল

ধর্মেন্দ্র তার স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর অন্য আত্মীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন। এরপর তিনি স্ত্রীর দ্বিতীয় শ্বশুরবাড়ি ধামপুর ধরওয়া গ্রামে পৌঁছান এবং পঞ্চমের কাছে জানতে চান কেন সে তার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। এই কথা শুনেই পঞ্চম ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্মেন্দ্রকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

পুলিশে অভিযোগ দায়ের

এই ঘটনার পর হতভম্ব ধর্মেন্দ্র কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে তিনি নন্দগঞ্জ থানায় গত ২৫ মে স্ত্রী সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে অনুরোধ করেছেন, যেন তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। নন্দগঞ্জ পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *