ভারতীয় সেনার হাতে পর্যুদস্ত পাকিস্তান, প্রকাশ্যে এল বিধ্বংসী অস্ত্র

জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ হওয়ার আসল কারণ এবার সামনে এল। ভারতীয় সেনা শুধুমাত্র যুদ্ধবিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করে না, বরং তাদের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক এবং বিধ্বংসী কিছু সামরিক সরঞ্জাম, যা পাকিস্তানকে বারবার পরাস্ত করেছে। সম্প্রতি অপারেশন সিন্দূরের পর সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (BSF) সেইসব অস্ত্রের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যা পাকিস্তানের সামরিক শক্তিকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।
যেসব অস্ত্রের ভয়ে কাঁপে পাকিস্তান
মঙ্গলবার বিএসএফ যে অস্ত্রগুলির প্রদর্শন করেছে, তার মধ্যে রয়েছে মিডিয়াম মেশিন গান, অ্যান্টি-মেটেরিয়াল রাইফেল ‘বিধ্বংসক’, ১২.৭ মিমি অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান এবং স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড সিস্টেম। এই মারণাস্ত্রগুলির সাহায্যেই ভারত একাধিক পাকিস্তানি ড্রোন, সামরিক ঘাঁটি এবং যানবাহন ধ্বংস করেছে। ‘অপারেশন সিন্দূর’-এর পর বিশ্বজুড়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রণকৌশল এবং সাহসিকতার প্রশংসা চলছে।
অটোমেটিক গ্রেনেড সিস্টেম
অপারেশন সিন্দূরে স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড সিস্টেম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিএসএফের এক জওয়ান জানান, এই গ্রেনেড সিস্টেম পাকিস্তানের ভেতরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। শত্রুর বাঙ্কার, আস্তানা এবং বুলেটপ্রুফ গাড়ি ধ্বংস করতে এটি অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। ১৭০০ থেকে ২১০০ মিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে এটি সহজেই ধ্বংস করতে পারে। এর দ্বারা নিক্ষেপ করা গ্রেনেডের মারক ক্ষমতা প্রায় ১০ মিটার ব্যাসার্ধের। শত্রুর সেনাকে পরাস্ত করতে বা তাদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে এই গ্রেনেড সিস্টেম অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
১২.৭ মিমি অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান
সন্ত্রাসবাদে মদদ দিয়ে যখন পাকিস্তান ভারতের ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছে, তখন ভারতীয় সেনাবাহিনী ১২.৭ মিমি অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গানের সাহায্যে সেইসব ড্রোনকে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে। এই গান পরিচালনা করতে মাত্র দু’জন জওয়ানের প্রয়োজন হয়। এটি ২ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুকে নিশানায় পরিণত করতে সক্ষম। এর সাহায্যে শত্রুর গাড়ি এবং ট্যাঙ্কও ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। বিএসএফের এক জওয়ান বলেন, এই গান লোহার চাদরও ভেদ করতে পারে।
মিডিয়াম মেশিন গান
মিডিয়াম মেশিন গান একইসঙ্গে আকাশ এবং ভূমিতে শত্রুকে প্রতিহত করতে সক্ষম। এই গান প্রতি মিনিটে ৬০০ থেকে ১০০০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করতে পারে। এর সাহায্যে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের একাধিক সামরিক পোস্ট এবং ড্রোন ধ্বংস করেছে। এক বিএসএফ জওয়ান জানিয়েছেন, এই গানের আওতায় আসা সমস্ত শত্রুর আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অ্যান্টি-মেটেরিয়াল রাইফেল ‘বিধ্বংসক’
নামের মতোই কাজ ‘বিধ্বংসক’ অ্যান্টি-মেটেরিয়াল রাইফেল। এই রাইফেল পাকিস্তানের সামরিক কাঠামোয় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। এর সাহায্যে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের বহু সামরিক পোস্ট লক্ষ্য করে ধ্বংস করেছে। এর রেঞ্জ ১৩০০ থেকে ১৮০০ মিটার। এই রাইফেলের মারণক্ষমতা দেখে পাকিস্তানি সেনারা তাদের পোস্ট ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।