মোদীর হনুমান মন্দির গল্প! গুজরাটে দখল অপসারণের রোমাঞ্চ!

মোদীর হনুমান মন্দির গল্প! গুজরাটে দখল অপসারণের রোমাঞ্চ!

গান্ধীনগরে গুজরাট নগর উন্নয়নের ২০তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দখল অপসারণের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যখন নগর উন্নয়নের কাজ শুরু করেন, তখন দখল অপসারণ ছিল প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু রাজনৈতিক বাধা ও অফিসারদের চতুরতা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। মোদী হাস্যরসের সঙ্গে জানান, অফিসাররা প্রথমে হনুমান মন্দির ভাঙতে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতেন, যা রাজনীতিবিদদের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াত। তবে, তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে এই কাজ এগিয়ে নিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করেন, যা শহরের চেহারা বদলে দেয়। ২০০৫ সালে নগর উন্নয়ন বছর ঘোষণা করেও তিনি নির্বাচনী চাপের মুখে পিছু হটেননি। ফলস্বরূপ, বিজেপি সেই নির্বাচনে ৯০% আসন জিতেছিল, যা জনগণের সমর্থনের প্রমাণ।

মোদী আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করলে জনগণ সম্মান দেয়। তিনি গুজরাটের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, মরুভূমি ও সমুদ্রের মাঝে থাকা গুজরাট আজ হীরার জন্য বিখ্যাত। তিনি দেশবাসীকে বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশীয় পণ্য গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠতে পারে। মোদী হাস্যরসে বলেন, এমনকি গণেশ মূর্তি ও হোলির রঙও বিদেশ থেকে আসছে, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। তিনি ব্যবসায়ীদের শপথ নিতে বলেন, লাভ যতই হোক, বিদেশি পণ্য বিক্রি করবেন না। এই বক্তব্য নগর উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার প্রতি মোদীর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *