বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ: জাতিসংঘের সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন দুই ভারতীয় শান্তিসেনা!

বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগ: জাতিসংঘের সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন দুই ভারতীয় শান্তিসেনা!

গত বছর জাতিসংঘে কর্মরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী দুই সাহসী ভারতীয় শান্তিসেনা মরণোত্তর সম্মাননা পেতে চলেছেন। জাতিসংঘ এই সপ্তাহটি শান্তিসেনা দিবস অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল ডে অফ ইউএন পিসকিপার্স হিসেবে পালন করছে, যা বিশ্বজুড়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে কর্মরত আত্মোৎসর্গকারী সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি সময়। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অমিতাভ ঝা, যিনি ইউএন ডিসএনগেজমেন্ট অবজারভার ফোর্স (UNDOF)-এর সাথে যুক্ত ছিলেন, এবং হাবিলদার সঞ্জয় সিং, যিনি গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে (MONUSCO) ইউনাইটেড নেশনস স্ট্যাবিলাইজেশন মিশনে মোতায়েন ছিলেন, তাদের ২৯শে মে আন্তর্জাতিক শান্তিসেনা দিবসের দিনে জাতিসংঘে একটি অনুষ্ঠানে মরণোত্তর ড্যাগ হ্যামারস্কোল্ড পদকে ভূষিত করা হবে। তাদের অটল প্রতিশ্রুতি এবং চূড়ান্ত আত্মত্যাগ শান্তি রক্ষীদের দ্বারা মুখোমুখি হওয়া সহজাত বিপদগুলিকে তুলে ধরে, কারণ তারা অস্থির অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা আনতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন।

জাতিসংঘের শান্তিসেনা মিশনে ভারত একটি অবিচল এবং উল্লেখযোগ্য অবদানকারী দেশ, যারা বিশ্বব্যাপী পোশাকধারী কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে চতুর্থ বৃহত্তম দেশ। বর্তমানে, আবিয়েই, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লেবানন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং পশ্চিম সাহারা সহ বিভিন্ন স্থানে 5,300-এর বেশি ভারতীয় সামরিক ও পুলিশ কর্মী জাতিসংঘের শান্তিসেনা কার্যক্রমে মোতায়েন রয়েছেন। শান্তিসেনা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস 1948 সাল থেকে এ পর্যন্ত জীবন হারানো 4,400-এর বেশি জাতিসংঘের শান্তিসেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়াও, গুতেরেস একটি অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন, যেখানে গত বছর জাতিসংঘের নেতৃত্বে সেবা করতে গিয়ে জীবন হারানো 57 সামরিক, পুলিশ এবং বেসামরিক শান্তিসেনাদের মরণোত্তর ড্যাগ হ্যামারস্কোল্ড পদক প্রদান করা হবে। এই চলমান উৎসর্গ বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি ভারতের অঙ্গীকারকে তুলে ধরে, যা প্রায়শই গভীর মূল্যে আসে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *