পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে প্রায়শই ভুল ধারণা দেখা যায়। মহিলাদের মতো পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রজনন ক্ষমতার অবসানের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরা ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তান ধারণে সক্ষম হতে পারেন। তবে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে শুক্রাণুর গুণমান এবং সংখ্যা হ্রাস পায়, যা প্রজনন ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। সুস্থ জীবনযাপন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এই প্রভাব কমানোর জন্য জরুরি।

মহিলাদের মেনোপজের মতো পুরুষদের মধ্যে সুস্পষ্ট কোনো প্রক্রিয়া না থাকলেও, “এন্ড্রোপজ” নামে একটি অবস্থা দেখা যায়। সাধারণত ৪০ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এর ফলে ক্লান্তি, যৌন আকাঙ্ক্ষা হ্রাস, মেজাজ পরিবর্তন, পেশী দুর্বলতা এবং মনোযোগের অভাবের মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এটিকে প্রায়শই পুরুষদের “মেনোপজ” হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যদিও এটি মহিলাদের মেনোপজের মতো হঠাৎ করে ঘটে না।

এই এন্ড্রোপজের প্রভাব মোকাবিলায় জীবনযাত্রার পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত ঘুম টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। যদি লক্ষণগুলি গুরুতর হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হরমোন পরীক্ষা করানো এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে। মানসিক চাপও একটি বড় কারণ, তাই মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। সামগ্রিকভাবে, পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা এবং হরমোনের পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।