মেয়েদের সরবরাহকারী নেতারা! তিন স্ত্রীর অভিযোগে ফাঁস রাজনীতির কালো মুখ

রাজনীতির আঙিনায় তিন নেতার ব্যক্তিগত জীবনের কেলেঙ্কারি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। আরজেডি নেতা তেজ প্রতাপ যাদবের স্ত্রী ঐশ্বর্যা রায় তাঁর এবং যাদব পরিবারের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। ২০১৯ সালে তিনি রাবড়ি দেবী ও মিসা ভারতীর বিরুদ্ধে মারধর ও অপমানের অভিযোগ এনেছিলেন। আদালত ঐশ্বর্যার পক্ষে রায় দিয়ে পাটনার এসকে পুরীতে বাসস্থান, গাড়ি, চালক ও মাসিক দেড় লাখ টাকা ভরণপোষণের নির্দেশ দিয়েছে। তেজ প্রতাপ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্কা যাদবের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশ করায় ডিভোর্সের বিষয়টি আবারও চর্চায় উঠেছে। এই ঘটনা বিহারের রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, এবং তেজ প্রতাপের বিরুদ্ধে স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
একইভাবে, ডিএমকে নেতা দেবসেয়ালের স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যৌন ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০ বছর ধরে তাঁকে অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কে বাধ্য করা হয়েছে এবং অভিযোগ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা শশি থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের ২০১৪ সালে দিল্লির এক হোটেলে রহস্যজনক মৃত্যু এখনও বিতর্কের কেন্দ্রে। তাঁর মৃত্যুর আগে থারুর ও পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহের তরারের ব্যক্তিগত বার্তা ফাঁস হয়, যা তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। যদিও ২০২১ সালে থারুর খালাস পান, এই ঘটনাগুলো রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত জীবনের অন্ধকার দিক তুলে ধরেছে।