রাশিয়া S-500 নিয়ে গর্বিত ছিল, ইউক্রেন তার সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে দিল!

একদিকে আমেরিকা এবং ন্যাটো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে, অন্যদিকে ইউক্রেন তার সীমিত সম্পদ দিয়ে এমন কিছু করেছে, যা রাশিয়া কল্পনাও করেনি।
প্রযুক্তি এবং কৌশলের এক অসাধারণ সমন্বয় দেখিয়ে, ইউক্রেন সোভিয়েত যুগের S-200 ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করেছে, এবং এই পুরানো সিস্টেমটি আজ রাশিয়ার জন্য মাথাব্যথা।
পুরানো সিস্টেম, নতুন চেহারা
1960-এর দশকে তৈরি, S-200 (NATO কোডনাম: SA-5 Gammon) মূলত বোমারু বিমানের মতো বায়ুবাহিত হুমকিকে গুলি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এই ভারী সিস্টেমে প্রায় 8 টন ওজনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার একটি 500 পাউন্ড ওয়ারহেড রয়েছে। তবে, ইউক্রেন এই সিস্টেমে একটি বড় পরিবর্তন এনে এটিকে ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অস্ত্রে পরিণত করেছে।
এই ‘যুগদ’ কীভাবে ঘটল?
ইউক্রেন S-200 এর ঐতিহ্যবাহী কমান্ড-গাইডেন্স ইউনিটগুলি সরিয়ে দিয়ে আধুনিক GPS সিকার যুক্ত করেছে। এর ফলে, এখন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি নির্দিষ্ট স্থল লক্ষ্যবস্তুতেও নির্ভুলতার সাথে আঘাত করতে পারে। এই পরিবর্তন কেবল সস্তাই নয়, বরং এটি অত্যন্ত কার্যকরও প্রমাণিত হচ্ছে।
S-200 এর আঘাত এবং রাশিয়ার উদ্বেগ
এই ‘বয়স্ক’ সিস্টেমের প্রথম নিশ্চিত ব্যবহার দেখা যায় 2023 সালের জুলাই মাসে, যখন ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের একটি শিল্প ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে, আরেকটি S-200 ক্ষেপণাস্ত্র ফ্রন্টলাইনের প্রায় 100 মাইল ভিতরে তাগানরোগ শহরে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে একটি ক্যাফে এবং অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেক বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়।
S-200 এর প্রযুক্তিগত শক্তি কী?
S-200 সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা B-52 এর মতো আমেরিকান বোমারু বিমানগুলিকে বাধা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি 186 মাইল পর্যন্ত এবং 131,000 ফুট উচ্চতায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। তবে, এই সিস্টেমটি মোবাইল ছিল না, বরং আধা-স্থির ছিল, যার মধ্যে ছিল ফায়ার কন্ট্রোল রাডার, ট্র্যাকিং সিস্টেম এবং একাধিক লঞ্চার।
ইউক্রেনের নতুন যুদ্ধ নীতি
আপনাকে বলি যে ইউক্রেনের এই কৌশল বিশ্বজুড়ে সামরিক বিশেষজ্ঞদের অবাক করে দিয়েছে। এটি কেবল একটি ক্ষেপণাস্ত্র পুনঃপ্রোগ্রামিংয়ের বিষয় নয়, বরং একটি ধারণা – সীমিত সম্পদের সাথেও আধুনিক যুদ্ধ লড়াই করা যেতে পারে। ন্যাটোর উপর নির্ভর না করে নিজস্ব বিদ্যমান সম্পদ ব্যবহার করে, ইউক্রেন প্রমাণ করেছে যে উদ্ভাবনই আসল অস্ত্র।
একদিকে আমেরিকা এবং ন্যাটো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনকে তাদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে, অন্যদিকে ইউক্রেন তার সীমিত সম্পদ দিয়ে এমন কিছু করেছে, যা রাশিয়াও কল্পনা করেনি। প্রযুক্তি এবং কৌশলের অসাধারণ সমন্বয় দেখিয়ে, ইউক্রেন সোভিয়েত যুগের S-200 ক্ষেপণাস্ত্র পুনরায় সক্রিয় করেছে এবং এই পুরানো সিস্টেমটি আজও রাশিয়ার জন্য মাথাব্যথা।