ভোজ্যতেলের প্যাকেজিংয়ে কড়াকড়ি! গ্রাহকরা কি স্বস্তি পাবেন?

ভোজ্যতেলের প্যাকেজিংয়ে কড়াকড়ি! গ্রাহকরা কি স্বস্তি পাবেন?

সরকার ভোজ্যতেলের প্যাকেজিংয়ে কঠোর নিয়ম ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছে। ২০২২ সালে আইনি পরিমাপ (প্যাকেজড পণ্য) নিয়ম শিথিল করার পর, ব্যবসায়ীরা ৮০০ গ্রাম, ৮১০ গ্রাম বা ৮৫০ গ্রামের মতো অস্বাভাবিক প্যাক আকারে তেল বিক্রি শুরু করে, যা এক কেজি হিসেবে বেশি দামে বিক্রি হতো। এই প্রতারণামূলক কৌশল গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। সরকারি সূত্র জানায়, এই অনিয়মিত প্যাক আকারের কারণে গ্রাহকরা ঠিক পরিমাণ ও দাম বুঝতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। ফলে, সরকার এখন ৫০০ গ্রাম, ১ কেজি, ২ কেজি এবং ৫ কেজির মতো স্ট্যান্ডার্ড প্যাক আকার পুনরায় বাধ্যতামূলক করার কথা বিবেচনা করছে। এই পদক্ষেপ গ্রাহকদের স্বচ্ছতা দেবে এবং ন্যায্য বাণিজ্য নিশ্চিত করবে।

ভারতে ভোজ্যতেলের ব্যবহার ক্রমাগত বাড়ছে, ২০২২-২৩ সালে যা ২৮.৯ মিলিয়ন টন ছুঁয়েছে। তবে, তেলের দামও বেড়েছে—সরিষার তেল প্রতি কেজি ১৭০.৬৬ টাকা, সূর্যমুখী তেল ১৬০.৭৭ টাকা এবং পাম তেল ১৩৫.০৪ টাকায় পৌঁছেছে। অস্বাভাবিক প্যাক আকারের কারণে গ্রাহকরা প্রায়ই কম পরিমাণে তেলের জন্য বেশি দাম দিয়েছেন। সরকারের নতুন পরিকল্পনা এই বিভ্রান্তি দূর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই নিয়ম পুনঃপ্রবর্তন গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং বাজারে স্বচ্ছতা বাড়াবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *