বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে ভারত, একটি উজ্জ্বল অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রধান অর্থনীতিবিদদের আউটলুক রিপোর্ট অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা শক্তিশালী, এবং এক-তৃতীয়াংশ অর্থনীতিবিদ ২০২৫-এর বাকি সময়ে শক্তিশালী বা অত্যন্ত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছেন। ভারত, এই অঞ্চলের বৃহত্তম অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৫-এ ৬.২% এবং ২০২৬-এ ৬.৩% জিডিপি বৃদ্ধি অর্জন করবে। অ্যাপলের আইফোন রপ্তানি এপ্রিলে ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭৬% বেড়ে ৩০ লক্ষ ইউনিটে পৌঁছেছে, যেখানে চীন থেকে চালান ৭৬% কমেছে। ভারত-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তি হুইস্কি, প্রসাধনী ও চিকিৎসা ডিভাইসের শুল্ক কমিয়ে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।

তবে, ভারত-পাকিস্তান সামরিক উত্তেজনা অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের আশঙ্কায় ৭৯% অর্থনীতিবিদ বর্তমান পরিস্থিতিকে গভীর ব্যাঘাত হিসেবে দেখছেন, এবং ৯৮% এটিকে উচ্চ থেকে অত্যন্ত উচ্চ অনিশ্চয়তার সময় বলছেন। বাণিজ্য নীতি, মুদ্রা, রাজস্ব ও শিল্প নীতিতে ব্যাঘাত সবচেয়ে বেশি। তবুও, ভারতের রপ্তানি আদেশে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি এবং ক্রয় ব্যবস্থাপকদের সূচকের ইতিবাচক তথ্য আশার আলো দেখাচ্ছে। চীনা রপ্তানির পুনঃরুট পরিবর্তন উদ্বেগজনক হলেও, ভারতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও কৌশলগত বাণিজ্য চুক্তি এটিকে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ‘উত্তর তারকা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।