‘উমিদ-ই-শাহর’ গ্রুপে গুপ্তচরবৃত্তি, এটিএসের তদন্তে পাক নেটওয়ার্ক উন্মোচিত

উত্তরপ্রদেশের এন্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস) ‘উমিদ-ই-শাহর’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে পাকিস্তানের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি ও দেশবিরোধী কার্যকলাপের একটি চক্র উন্মোচন করেছে। বারাণসীর তুফায়েল আলম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি পাকিস্তানি নম্বরে পরিচালিত এই গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি সংবেদনশীল তথ্য পাঠানোর পাশাপাশি ‘গজওয়া-এ-হিন্দ’ ও বাবরি মসজিদ প্রতিশোধের উসকানিমূলক বার্তা ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ।
তদন্তে জানা গেছে, ২০২২ সালে তুফায়েল পাঞ্জাবে পাকিস্তানের আইএসআই এজেন্ট নওশাদ মেমনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এই গ্রুপে যোগ দেন। তিনি রাজঘাট, গ্যানভাপি, লাল কেল্লা সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছবি ও তথ্য ৬০০টির বেশি পাকিস্তানি নম্বরে পাঠিয়েছেন। এটিএস তুফায়েলের ফোন ও আর্থিক লেনদেন পরীক্ষা করে নেটওয়ার্কের অন্য সদস্যদের শনাক্ত করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনা ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার উপর পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাবের ইঙ্গিত দেয়। তুফায়েলের গ্রেপ্তার এবং ‘উমিদ-ই-শাহর’ গ্রুপের উন্মোচন সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার ও সংগঠিত গুপ্তচরবৃত্তির বিপদ তুলে ধরেছে। এটিএস এখন এই নেটওয়ার্কের গভীরতা ও সম্ভাব্য সহযোগীদের তদন্ত করছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।