হনুমান জির লেজের রহস্যময় শক্তি! লঙ্কা দহনের গোপন কাহিনী

হনুমান জির লেজের রহস্যময় শক্তি! লঙ্কা দহনের গোপন কাহিনী

হনুমান জির লেজ পৌরাণিক গ্রন্থে এক রহস্যময় ও অলৌকিক শক্তির প্রতীক হিসেবে বর্ণিত। রামায়ণে উল্লেখ আছে, যখনই কেউ তাঁর লেজ ধরার চেষ্টা করেছে, তখনই ব্যর্থ হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা লঙ্কা দহনের সময়, যখন রাবণের নির্দেশে হনুমানের লেজে আগুন লাগানো হয়। কিন্তু তিনি নিজে অক্ষত থেকে সেই অগ্নিময় লেজ দিয়ে সমগ্র লঙ্কা পুড়িয়ে ছাই করে দেন। এর পিছনে বিশ্বাস, তাঁর লেজে অগ্নি উপাদানের স্থায়ী শক্তি বিরাজমান, যা ধ্বংস ও পবিত্রতার প্রতীক। হনুমান জি, শিবের রুদ্র অবতার হিসেবে, এই শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতেন। কিছু ঐতিহ্যে তাঁর লেজকে কুণ্ডলিনী শক্তির প্রতীক মনে করা হয়, যা মহাজাগতিক ভারসাম্য ও আধ্যাত্মিক জাগরণের সঙ্গে যুক্ত।

হনুমানের লেজের অলৌকিক ক্ষমতা শুধু ধ্বংসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি ইচ্ছানুযায়ী আকার পরিবর্তন করতে পারত, যেমন লঙ্কা দহনে বহুবার প্রসারিত হয়েছিল। শিব পুরাণে বলা হয়, এই লেজে মহাদেবের কৃপা নিহিত। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, দেবী পার্বতী ত্রেতাযুগে হনুমানের লেজে বাস করে রাবণের বিরুদ্ধে ক্রোধ প্রকাশ করেছিলেন। ভক্তরা আজও তাঁর লেজের প্রদক্ষিণ করে ঐশ্বরিক কৃপা ও সুরক্ষা কামনা করেন। এই লেজ শুধু শারীরিক ভারসাম্য নয়, জীবন ও ধর্মের ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *