যুদ্ধ শুধু মাটিতে নয়, সাইবারেও —সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত সাফল্য

যুদ্ধ শুধু মাটিতে নয়, সাইবারেও —সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত সাফল্য

সিঙ্গাপুরে সাংরি-লা ডায়ালগে ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল অনিল চৌহান পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কৌশলগত দিক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ভারত বহু বৈচিত্র্যপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের কারণে পাকিস্তানের চেয়ে সব দিক থেকে এগিয়ে আছে। চৌহান বলেন, স্বাধীনতার সময় পাকিস্তান বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও, ভারত অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা, মানব উন্নয়ন এবং সামাজিক সম্প্রীতি সহ সমস্ত দিক থেকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়, বরং সুচিন্তিত দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের ফল।

জেনারেল চৌহান ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গে জানান, এটি ছিল একটি অ-যোগাযোগ এবং বহু-ক্ষেত্রীয় অভিযান, যেখানে সামরিক বাহিনী কেবল ঐতিহ্যবাহী সামরিক পদক্ষেপের উপর নির্ভর করেনি, বরং সাইবার সক্ষমতা, গোয়েন্দা তথ্য এবং ভুল তথ্য ব্যবস্থাপনার উপরও জোর দিয়েছে। এই অভিযানের একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ ছিল ভুল তথ্য মোকাবিলা করা। চৌহান উল্লেখ করেছেন, এই মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রায় ১৫ শতাংশ সম্পদ ভুয়া খবর এবং বিভ্রান্তিকর বর্ণনা মোকাবেলায় বরাদ্দ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “ভুয়া খবর মোকাবিলা একটি constante প্রচেষ্টা ছিল। আমাদের যোগাযোগ কৌশল ছিল সুচিন্তিত, আমরা প্রতিক্রিয়াশীল না হয়ে পরিমাপকৃত থাকতে বেছে নিয়েছিলাম, কারণ উচ্চ-বাজি অপারেশনের সময় ভুল তথ্য দ্রুত জনমতকে বিকৃত করতে পারে।”

‘অপারেশন সিঁদুর’ ছিল ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার direct সামরিক প্রতিক্রিয়া, যেখানে ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। ৭ মে ভোরে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে অভিযান চালায়, যেখানে অন্তত ১০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়। এই হামলার পর পশ্চিমা সীমান্তে বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, সশস্ত্র ড্রোন এবং তীব্র আর্টিলারি ও রকেট হামলা সহ একাধিক পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়। ৪ দিনের লড়াইয়ের পর দুই দেশ একটি সমঝোতায় পৌঁছালে ১০ মে সামরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *