৭৫ বছর পর তৃষ্ণায় মৃত্যু? হিমালয়ের বরফ গলার সতর্কতা!

৭৫ বছর পর তৃষ্ণায় মৃত্যু? হিমালয়ের বরফ গলার  সতর্কতা!

সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা মানবজাতির জন্য ভয়াবহ সতর্কতা জারি করেছে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের তুলনায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বাড়লে, হিন্দুকুশ হিমালয় (HKH) অঞ্চল ২০৯৯ সালের মধ্যে তার হিমবাহের ৭৫% বরফ হারাতে পারে। এই হিমবাহগুলি এশিয়ার প্রায় ২০০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য ও জলর প্রধান উৎস। বরফ গলে গেলে জল সংকট তীব্র হবে, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং পানীয় জলের অভাবে মানুষের জীবন বিপন্ন হতে পারে। তবে, প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অনুযায়ী তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখলে ৪০-৪৫% হিমবাহ সংরক্ষণ সম্ভব। এই গবেষণা জলবায়ু নীতির গুরুত্ব তুলে ধরেছে, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে সহায়ক হতে পারে।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, বর্তমান জলবায়ু নীতি অনুযায়ী তাপমাত্রা ২.৭ ডিগ্রি বাড়লে হিমবাহের মাত্র ২৪% বরফ টিকে থাকবে। ইউরোপীয় আল্পস, রকি পর্বত ও আইসল্যান্ডের মতো অঞ্চল বিশেষভাবে ঝুঁকিতে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার হিমবাহ সম্পূর্ণ গলে যেতে পারে। ১০টি দেশের ২১ জন বিজ্ঞানী ২ লক্ষের বেশি হিমবাহের উপর ৮টি মডেল ব্যবহার করে এই গবেষণা পরিচালনা করেছেন। দুশানবেতে চলমান জাতিসংঘের হিমবাহ সম্মেলনে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত প্রচেষ্টা না হলে, ৭৫ বছর পর জল সংকটে মানবজাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *