নরওয়েতে ভারতীয় ইউটিউবারের রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা, দেবদূতের বেশে হাজির উদ্ধারকারীরা

হাইকিং একটি অত্যন্ত আনন্দ-দায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে, তবে এর সাথে কিছু ঝুঁকিও থাকে। যথাযথ প্রস্তুতি ছাড়া হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জিং ভূখণ্ড একটি শান্তিপূর্ণ ভ্রমণকে দ্রুত জীবন-হুমকির পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত করতে পারে। সম্প্রতি নরওয়েতে ভারতীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর আকাশ ব্যানার্জি এবং তার স্ত্রী নিধির সাথে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা এই বিপদগুলি সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়। প্রিকস্টোলেন, যা পালপিট রক নামেও পরিচিত, সেখানে হাইকিং করতে গিয়ে তারা এক মারাত্মক পরিস্থিতিতে পড়েন।
ব্যানার্জি ইনস্টাগ্রামে তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, চূড়ায় পৌঁছে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার পর ফেরার পথে এই বিপদ ঘটে। নিধি পিছলে গিয়ে তার গোড়ালিতে গুরুতর আঘাত পান। নিকটতম সভ্যতা থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে তারা আটকা পড়েন। প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস এবং বৃষ্টির মধ্যে নিধিকে নিরাপদে সরানোর কোনো immediate উপায় ছিল না। এমন অবস্থায় অন্য হাইকারদের পরামর্শে ব্যানার্জি নরওয়ের জরুরি নম্বর ১১৩-তে ফোন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উদ্ধারকারী দল তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে এবং এক ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকসহ একটি দল তাদের কাছে পৌঁছায়।
উদ্ধারকারী দল নিধির পা সুরক্ষিত করতে একটি ভ্যাকুয়াম ব্যাগ এবং একটি পোর্টেবল স্ট্রেচার ব্যবহার করে তাকে নিরাপদে বেস ক্যাম্পে নিয়ে আসে। আকাশ ব্যানার্জিকে অবাক করে দিয়েছিল যে এই উদ্ধারকারীরা পেশাদার কেউ ছিলেন না, বরং সাধারণ নরওয়েজিয়ান স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন যারা অন্যদের সাহায্য করার জন্য নিজেদের সময় উৎসর্গ করেন। পরে ব্যানার্জি জানতে পারেন যে এই উদ্ধার অভিযানটি নরওয়েজিয়ান পিপলস এইড (Norsk Folkehjelp) নামক একটি এনজিও দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, যারা বিনামূল্যে উদ্ধার পরিষেবা এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে থাকে। এই ঘটনা নরওয়ের মানুষের communautaire এবং আতিথেয়তার এক দারুণ উদাহরণ।