হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ পুরনো ফোনে, বিপাকে কোটি ব্যবহারকারী

আজ, রবিবার থেকে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনের বেশ কিছু পুরনো মডেলের স্মার্টফোনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা। মেটার পক্ষ থেকে প্রথমে মে মাস থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কথা জানানো হলেও, ভারতের জন্য তা পিছিয়ে জুন মাসে কার্যকর করা হলো। সংস্থার দাবি, ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। তবে এই সিদ্ধান্তে দেশের ৮৫ কোটিরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর একটি বড় অংশ, বিশেষত প্রবীণ এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষজন নতুন করে আর্থিক সংকটের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপ এখন শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত বা তরুণ সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গত পাঁচ বছরে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে বহু সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং প্রবীণরাও এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। আর্থিক লেনদেনের সুবিধা যুক্ত হওয়ায় এর সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। অনেক ব্যবহারকারীই ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা সম্পর্কে অবগত নন, তাই সংস্থাকেই নিরন্তর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আপডেট, বাগ নির্মূলকরণ এবং নতুন ফিচার আনতে হয়। যেমন, এখন আর হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল ছবি ডাউনলোড করা যায় না, যা প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলিং রোধে সহায়ক হয়েছে।

পুরনো মডেলে পরিষেবা বন্ধের আরেকটি কারণ হলো হোয়াটসঅ্যাপের বাণিজ্যিক গুরুত্ব। চ্যানেল, বিজনেস অ্যাকাউন্ট, কমিউনিটিজের মতো ফিচারগুলো থেকে সংস্থার যথেষ্ট লাভ হয়। এই পরিষেবাগুলোর সুবিধা নিতে আধুনিক স্মার্টফোন থাকা জরুরি। তাই পুরনো অপারেটিং সিস্টেম এবং ফোনগুলোকে বাদ দিতে হচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ অবশ্য জানিয়েছে, যদি ফোনটি অ্যান্ড্রয়েডের ৫.১ সংস্করণ বা আইওএসের ১৫.১ সংস্করণে উন্নীত করার সুযোগ দেয়, তবে তাতে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু এতে অনেক ব্যবহারকারীকে প্রায় দশ হাজার টাকার মতো খরচ করে নতুন ফোন কিনতে হতে পারে, যা তাদের জন্য একটি বড় আর্থিক চাপ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *