চারধাম যাত্রায় ৭৩ তীর্থযাত্রীর মৃত্যু, জেনে নিন মৃতদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রা করেন। এটি আধ্যাত্মিক শান্তির এক পবিত্র পথ। তবে, এই যাত্রাপথে ঝুঁকিও কম নয়। এবছর চারধাম যাত্রা শুরুর মাত্র এক মাসের মধ্যেই ৭৩ জন তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এমন পরিস্থিতিতে মৃতদেহ পরিবারের কাছে কীভাবে পৌঁছাবে এবং এর সঙ্গে জড়িত খরচ কে বহন করবে? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলোর উত্তর এবং সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
উত্তরাখণ্ড সরকার চারধাম যাত্রায় অংশ নেওয়া প্রতিটি তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন করে। এই রেজিস্ট্রেশনের সময় দুর্ঘটনা বীমার একটি বিকল্প দেওয়া হয়। যে যাত্রীরা এই বিকল্পটি বেছে নেন, তাঁরা এক লক্ষ টাকার বীমা কভারেজের আওতায় আসেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যদি যাত্রাপথে তাঁদের মৃত্যু হয়, তাহলে তাঁদের পরিবার এক লক্ষ টাকা দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ পান। এছাড়াও, উত্তরাখণ্ড সরকারের একটি নিজস্ব ক্ষতিপূরণ নীতি রয়েছে, যার আওতায় তীর্থযাত্রীর মৃত্যু হলে সরকার কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
মৃতদেহ শনাক্তকরণ এবং পরিবারের কাছে পৌঁছানোর প্রক্রিয়া বেশ জটিল হতে পারে, বিশেষ করে যদি তীর্থযাত্রী একা ভ্রমণ করে থাকেন। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত মৃত্যুর খবর জানানো হলে, তারা ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে এবং একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে পাঠায়। এরপর ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। মৃতদেহ নিকটবর্তী রাজ্যগুলিতে সড়কপথে এবং দূরবর্তী রাজ্যগুলিতে বিমানযোগে পাঠানোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। অনেক সময় পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন, সেক্ষেত্রেও স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় সহায়তা করে। বীমা কভারেজ থাকলে, পরিবারকে মৃত্যু প্রমাণপত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে বীমা কো ম্পা নির কাছে আবেদন করতে হয়। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই প্রক্রিয়ায় পরিবারকে সহায়তা করে থাকে।