চীনের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ, বিশ্বে ধ্বংসযজ্ঞের নতুন হাতিয়ার?

ফ্রিডম হাউসের ২০২১ সালের “নেটে স্বাধীনতা” প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের শীর্ষে। ৭০টি দেশের মধ্যে মাত্র ১০ স্কোর পাওয়া চীনের ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল’ কঠোরভাবে কন্টেন্ট ফিল্টার করে, ইন্টারনেট ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে এবং নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সীমিত করে। ইরান, মায়ানমার ও কিউবার পাশাপাশি ভিয়েতনামও এই পথ অনুসরণ করছে। “এই নিয়ন্ত্রণ বৈশ্বিক তথ্যপ্রবাহে হুমকি,” বলেন ফ্রিডম হাউসের বিশ্লেষক সারা কুক।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো যেমন কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও মিশরও কঠোর ইন্টারনেট নীতি গ্রহণ করছে। রাশিয়া, তালিকায় ১১তম, অনলাইন কন্টেন্ট নিষিদ্ধকরণ, প্ল্যাটফর্ম ব্লক ও সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ জোরদার করেছে। এই প্রবণতা ডিজিটাল স্বাধীনতাকে সংকুচিত করছে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য চ্যালেঞ্জ।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, চীনের এই মডেল অনুকরণ করে অনেক দেশ তথ্য নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির হাতিয়ার হিসেবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এটি শুধু নাগরিকদের অধিকারই ক্ষুণ্ন করছে না, বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলছে।