উত্তর কোরিয়ার ফোনে ‘ওপ্পা’ হয়ে যায় ‘কমরেড’, নজরদারির নয়া কৌশল ফাঁস

কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সমস্ত কিছুই নিষিদ্ধ। বাইরের দুনিয়া থেকে নিজেদের নাগরিকদের বিচ্ছিন্ন রাখতে দেশটি সব ধরনের সংবাদমাধ্যমের উপর কঠোর সেন্সরশিপ আরোপ করেছে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া থেকে পাচার হওয়া একটি মোবাইল ফোন বিশ্বের অন্যতম কঠোর এই সেন্সরশিপ ব্যবস্থার নতুন কিছু দিক উন্মোচন করেছে, যা নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের এক ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
বিবিসি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই নজরদারি এবং সেন্সরশিপ পদ্ধতির মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার নির্দিষ্ট কিছু শব্দের স্বয়ংক্রিয় পরিবর্তন থেকে শুরু করে কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়মিত ডেটা শেয়ারিং অন্তর্ভুক্ত। ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে বহুল ব্যবহৃত শব্দ ‘ওপ্পা’ (যার আক্ষরিক অর্থ বড় ভাই হলেও প্রেমিক অর্থে ব্যবহৃত হয়), উত্তর কোরিয়ার স্মার্টফোনগুলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘কমরেড’ হয়ে যায়। এছাড়া, কিবোর্ডের ঠিক নিচে একটি সতর্কবার্তায় লেখা থাকে, “এই শব্দটি শুধুমাত্র ভাইবোনদের বোঝাতে ব্যবহার করা যাবে।”
একইভাবে, কেউ যদি ‘দক্ষিণ কোরিয়া’ লেখার চেষ্টা করেন, ফোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা ‘পাপেট স্টেট’-এ পরিবর্তন করে দেয়। উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ এই শব্দটি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি পুতুল রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করে। এছাড়াও, ফোনটি প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর স্ক্রিনশট নেয় এবং সেগুলিকে একটি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে সংরক্ষণ করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য নয়। শুধুমাত্র কর্তৃপক্ষের কাছে এই ফোল্ডারের অ্যাক্সেস থাকে, যা তাদের ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ দেয়।