বিস্ফোরক: অনুব্রত কোনও ফোন করেননি, এটি AI-এর মাধ্যমে সাজানো চক্রান্ত

বিস্ফোরক: অনুব্রত কোনও ফোন করেননি, এটি AI-এর মাধ্যমে সাজানো চক্রান্ত

বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বোলপুর থানার ইন্সপেক্টর-ইন-চার্জ লিটন হালদারকে ফোনে অশালীন ভাষায় আক্রমণের অভিযোগে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। রবিবার (১ জুন, ২০২৫) সকালে বোলপুর এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হন মণ্ডল। তাঁর বদলে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা গগন সরকার হাজির হয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন, “অনুব্রত কোনও ফোন করেননি; এটি AI-এর মাধ্যমে সাজানো চক্রান্ত।” তিনি জানান, মণ্ডল অসুস্থ, বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। তবে তৃণমূলের নির্দেশে ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও এই দাবি বিতর্ককে নতুন মোড় দিয়েছে।

বীরভূম পুলিশ সুপার আমন্দীপ জানান, “লিটন হালদারের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তৃণমূল মণ্ডলের ভাষাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয়। মণ্ডল ক্ষমা চেয়ে দাবি করেন, “ওষুধের প্রভাবে এমন কথা বলেছি।” তবে গগন সরকারের AI তত্ত্ব এবং বিজেপি-র চক্রান্তের অভিযোগ তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

এই ঘটনা মণ্ডলের পূর্বের বিতর্ক, যেমন গরু পাচার মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে। পুলিশ দ্বিতীয় নোটিস জারি করেছে; তৃতীয় নোটিসে সাড়া না দিলে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা রয়েছে। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও অপেক্ষমাণ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *