পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর নতুন দাবি, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পেছনে ছিল তাদের হাত

সম্প্রতি সামনে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে লুকিয়ে থাকা গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতদিন ধারণা করা হচ্ছিল, এই ঘটনায় কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল, কিন্তু এখন ধীরে ধীরে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে হাফিজ সাঈদ-এর নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া (JuD) এই অভ্যুত্থানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে, যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
জামাত-উদ-দাওয়ার নেতা সাইফ উল্লাহ কাসুরি এবং জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসী মুজাম্মিল হাশমি তাদের বক্তব্যে দাবি করেছেন, গত বছর বাংলাদেশে সংঘটিত সরকার বিরোধী বিক্ষোভে তাদের সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল।1 তাদের লক্ষ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা। কাসুরি তার বক্তৃতায় ১৯৭১ সালের প্রতিশোধ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমি যখন চার বছরের ছিলাম, তখন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিভাজন হয়েছিল। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি দুই-জাতি তত্ত্বকে বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দিয়েছেন।2 ১০ মে, আমরা ১৯৭১ সালের প্রতিশোধ নিয়েছি।” এই বিস্ফোরক মন্তব্য আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
এই ঘটনার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন এসেছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, যার ফলে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে দ্রুত উন্নতি হয়েছে। তবে, পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক হুসেন হাক্কানি এই ধরনের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন যে, “এই ধরনের বিবৃতি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত না করার বিষয়ে পাকিস্তানের দাবিকে বিশ্বজুড়ে সন্দেহের মুখে ফেলে।” হাফিজ সাঈদ, যাকে ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার মূল হোতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তার সংগঠনের এই দাবি ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, কারণ তারা জিহাদের জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে প্রস্তুত করার কথাও বলছে।