ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধের ময়দানে বিশ্বের প্রথম উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন লেজার অস্ত্র ব্যবহার করে শত্রু ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যা আমেরিকা, চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিকেও অবাক করেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভিডিওতে দেখা গেছে, রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমসের তৈরি এই লেজার অস্ত্র একটি ড্রোনের ডানা পুড়িয়ে কয়েক সেকেন্ডে ধ্বংস করেছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুডাহ এলমাকেয়েস বলেন, “এটি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথম সফল লেজার ইন্টারসেপশন।”

এই প্রযুক্তি হামাস, হিজবুল্লাহ ও হুথি বিদ্রোহীদের মতো ক্রুশ-আকৃতির ড্রোন ধ্বংসে কার্যকর। আয়রন বিম লেজার সিস্টেমের প্রোটোটাইপ ব্যয়বহুল ক্ষেপণাস্ত্রের পরিবর্তে সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে কাজ করছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেভিড হ্যাম্বলিং বলেন, “এই প্রযুক্তি সাশ্রয়ী এবং কার্যকর, তবে ড্রোনের কাউন্টারমেজার ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।” ২০২৫ সালের মধ্যে আয়রন বিম পূর্ণাঙ্গভাবে মোতায়েন হবে, যা ইসরায়েলের বায়ু প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করবে।

এই অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী লেজার প্রতিরক্ষা গবেষণায় নতুন গতি এনেছে। তবে, গাজায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযান, যেখানে ড্রোন হামলায় বেসামরিক মৃত্যু রিপোর্ট করা হয়েছে, বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযানে হাসপাতাল ও আশ্রয়কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রযুক্তি যুদ্ধের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে পারে, তবে এর নৈতিক ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

This is amazing

🇮🇱
During the last war, Israel conducted operational testing of the Magen Or laser interception system, mainly in the northern region, and the system recorded operational successes in the field of interception. pic.twitter.com/elJcaNkXNQ

— Adi 🎗 (@Adi13) May 28, 2025