বিখ্যাত ধর্মীয় বক্তা পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে বলেছেন যে ভারতে ধর্মান্তরের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি বস্তার এবং জশপুর অঞ্চলে। আগামী দিনে তিনি জশপুরে একটি ধর্মীয় সভা করবেন, যেখানে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম গির্জাটি অবস্থিত।

তিনি আরও বলেন, গির্জার ঠিক সামনেই তিনি এই সভার আয়োজন করবেন। শাস্ত্রী জানান, তিনি ছত্তিশগড়ে পদযাত্রা করবেন এবং সনাতন ধর্মের জয় ঘোষণা করবেন। তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বর থেকে দিল্লি থেকে বৃন্দাবন পর্যন্ত একটি পদযাত্রার আয়োজন করবেন।

বিখ্যাত ধর্মীয় বক্তা পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বলেছেন, ভারত হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবেই থাকবে। আমরা এর জন্য একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করেছি। সাধুদের কমণ্ডলু বাগেশ্বর ধাম সরকার থেকে বের হবে। তিনি বলেন, ভগবান শ্রী রামের মামার বাড়িতে এসে তিনি খুব আনন্দিত। পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী তার আগামী পরিকল্পনার কথাও জানান যে তিনি ছত্তিশগড়ে পদযাত্রা করবেন এবং ৭ নভেম্বর থেকে দিল্লি থেকে বৃন্দাবন পর্যন্তও পদযাত্রার আয়োজন করবেন।

পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী ছত্তিশগড়ে নকশাল বিরোধী অভিযানে সাই সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। বস্তার অঞ্চলে নকশালদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সাই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নকশালদের কাছে অনুরোধ, তারা যেন ভারতকে ভারত হিসেবেই থাকতে দেন। মূল স্রোতে ফিরে আসুন এবং দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে চলুন, যাতে বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করা যায় এবং ভারতকে অখণ্ড করা যায়।

উল্লেখ্য, দেশের বিখ্যাত সনাতন সাধু এবং বাগেশ্বর ধাম সরকারের প্রধান পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী সোমবার একদিনের সফরে বিলাসপুরে পৌঁছেছিলেন। তিনি উসলাপুরে অবস্থিত মিনোচা কলোনিতে আয়োজিত একটি বিশাল গণবিবাহ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন। তার আগমনে শহরে উৎসবের মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এবং ভক্তদের বিশাল ভিড় জমেছিল। ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর দর্শন পেতে আসা ভিড় সামলাতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।