অপেক্ষাগৃহে রহস্যময়ী নারী, পার্স পড়তেই ফাঁস হলো ‘ক্লিপ্টো কুইন’ পরিচয়!

রেলযাত্রীদের সুরক্ষায় জিআরপি ও আরপিএফের টহলদারি যে কতটা জরুরি, তার প্রমাণ মিলল উন্নাও স্টেশনে। এসি ওয়েটিং রুমে বসে থাকা এক ‘আধুনিকা’ মহিলার আচরণ দেখে সহযাত্রীদের সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহ থেকেই পর্দাফাঁস হলো এক ‘ক্লিপ্টো কুইন’-এর।
ঘটনার সূত্রপাত ওয়েটিং হলের ভিতরে। কানপুরের বাসিন্দা সঞ্জনা নামের এক মহিলা সেখানে বসে নিজের মনে ‘স্টাইল’ দেখাচ্ছিলেন। হঠাৎই তাঁর হাত থেকে পড়ে যায় পার্স। সেটি দ্রুত তুলতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। পার্স থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে দুটি দামি স্মার্ট ঘড়ি! এখানেই যাত্রীদের মনে খটকা লাগে। কেন একজন মহিলা দুটি ঘড়ি নিজের হাতে না পরে পার্সের ভিতর লুকিয়ে রাখবেন? তাও আবার সেই ঘড়িগুলো তাঁর পোশাকের সঙ্গে একেবারেই বেমানান!
যাত্রীদের এই সন্দেহ অমূলক ছিল না। উন্নাও থানা ইনচার্জের নেতৃত্বে জিআরপি ও আরপিএফের একটি দল স্টেশনে টহল দিচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা এসি লেডিস ওয়েটিং হলে পৌঁছয়। ততক্ষণে যাত্রীরা ওই মহিলার কীর্তি ধরে ফেলেছেন। জানা যায়, এর আগে ওই মহিলা পাশে বসা এক ব্যক্তির পার্স হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন! সেই সময় যাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে হাতেনাতে ধরা পড়ে যান সঞ্জনা।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সঞ্জনাকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বাদামী রঙের লেডিস পার্স, একটি মোবাইল ফোন এবং সেই দুটি বহুমূল্য স্মার্ট ঘড়ি। জেরায় আসল রহস্য ফাঁস হয়। আপাতত অভিযুক্তকে উন্নাও জেলে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, তীক্ষ্ণ নজর এবং সামান্য সন্দেহও অনেক সময় বড় অপরাধের কিনারা করতে সাহায্য করে। রেলওয়ে পুলিশ এবং সহযাত্রীদের সতর্কতায় ধরা পড়া এই ‘ক্লিপ্টো কুইন’-এর কীর্তি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।