নবান্নের নতুন নির্দেশিকা, গরমে ছুটি শেষে স্কুলে মাস্ক পরা কি বাধ্যতামূলক জানুন!

নবান্নের নতুন নির্দেশিকা, গরমে ছুটি শেষে স্কুলে মাস্ক পরা কি বাধ্যতামূলক জানুন!

রাজ্যের শিক্ষাঙ্গন আবার সচল হয়েছে। দীর্ঘ গ্রীষ্মের ছুটি শেষে সরকারি, সরকার পোষিত, এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সকল স্কুল সোমবার থেকে খুলে গেছে। শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের ব্যাগ পিঠে নিয়ে, চোখে ছুটির রেশ আর একরাশ স্বপ্ন নিয়ে আবারও স্কুলের পথে হাঁটতে শুরু করেছে।

তবে প্রকৃতি ভিন্ন মেজাজে রয়েছে। নিম্নচাপের ভ্রুকুটি এবং ভ্যাপসা গরম যেন পিছু ছাড়ছে না। এর মধ্যেই রাজ্যে করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এবং রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮৭। এই পরিস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়া স্বাভাবিক। গরমের অস্বস্তি এবং ভাইরাসের ভয় উভয়ই শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

তবে, স্কুলগুলিও বসে নেই। আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতার মন্ত্র জপ করা হচ্ছে। জ্বর, সর্দি, কাশি বা সামান্য অস্বস্তি হলেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে আসতেও নিষেধ করা হয়েছে।

প্রায় প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের গলাতেই একই সুর-জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাসই আসল পঠনপাঠনের সময়। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত স্কুলে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে। মজার বিষয় হলো, এই নির্দেশিকা স্কুল খোলার জন্য অপেক্ষা করেনি। অনেক স্কুল ছুটির মধ্যেই তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে পারে।

সুতরাং, ছুটির আমেজ ফিকে হলেও, বাংলার ছাত্রছাত্রীরা নতুন উদ্যমে পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত। তবে, এই নতুন শিক্ষাবর্ষে শুধু বইয়ের পাতাই নয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাঠও সমান গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক, প্রকৃতির এই খামখেয়ালিপনা এবং ভাইরাসের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে ছোটরা কতটা সাবধানে তাদের শিক্ষাজীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *