ভবিষ্যতে ভারতে কেবল ‘মুখ দেখে’ জিনিস দেবেন দোকানি! টাকা, কার্ড, মোবাইল ছাড়াই চুটিয়ে শপিং, ব্যাপারটা কী?

‘ফেস পে ফেস ভেরিফিকেশন প্ল্যাটফর্ম’ ২০২৩ সালেই চালু হয়েছে দুবাইয়ে। যার মাধ্যমে ক্রেতারা যে কোনও বিপণিতে গিয়ে কেনাকাটা করে দাম মেটাতে পারবেন মুখ দেখিয়ে। মজার ছলে বলা যেতে পারে ‘মুখ দিয়ে যায় কেনা’।
ভারতীয় শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কার একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সম্প্রতি এই প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন ব্যক্তি শপিং মলে গিয়ে কেনাকাটা করছেন এবং পেমেন্ট কাউন্টারের সামনে গিয়ে কোনও নগদ টাকা বা কার্ডের বদলে নিজের মুখের আদল স্ক্যান করেই অনায়াসে দাম মিটিয়ে দিলেন।
গোয়েঙ্কা সেই ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, এদেশেও ফেসিয়াল রেকগনিশন করে পেমেন্ট চলে এল বলে। যদিও দুবাইয়ের এই ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন পেমেন্ট সিস্টেম’ হালের ঘটনা নয়। ২০২৩ সাল থেকেই সেখানে এটি চালু আছে।
প্রতিদিন জিনিসপত্র কেনার পর ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে স্ক্যানারের সামনে মুখ দেখালেই ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে নির্দিষ্ট মূল্য। গোটা প্রক্রিয়ার যে ঝক্কির কোনও ব্যাপারই নেই। বরং দ্রুত ও নির্ভুল পদ্ধতিতে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে এক লহমায়।
যদিও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, ‘ফেস রেকগনিশন’ দিয়ে টাকা লেনদেন হয়ে যাচ্ছে মানেই কোনও ঝুটঝামেলার বালাই নেই তা নয়। ফেস রেকগনিশন বা মুখের আদলের স্ক্যানিং থেকে সাইবার প্রতারকরা ঠিকই একটা ফন্দি বের করে নেবে এবং সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অনায়াসে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিতে পারে।
তবে এহেন ফেস রেকগনিশন সিস্টেম নতুন নয়। স্মার্ট ফোন থেকে শুরু করে অফিস-কাছারি, নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের অফিসে আসা নিশ্চিত করতেও এখন বায়োমেট্রিকের বদলে জায়গা করে নিয়েছে এই ফেস স্ক্যানিং পদ্ধতি। কর্মীরা অফিসে এসে এই মেশিনের সামনে দাঁড়াতেই ছবি ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে সার্ভারে সময় ধরে তাঁর উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়ে যায়।