তুষারপাতের মাঝেও হেমকুন্ডে ভক্তদের ভিড়, রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থী

উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চলে গত তিন দিন ধরে একটানা তুষারপাত হচ্ছে, যার ফলে জেঁকে বসেছে কনকনে ঠান্ডা। এরই মধ্যে শিখদের পবিত্র তীর্থস্থান চামোলির হেমকুন্ড সাহেব বরফের চাদরে ঢেকে গেছে। প্রায় তিন ইঞ্চি পুরু বরফ জমেছে সেখানে। এই তীব্র ঠান্ডার মধ্যেও শিখ তীর্থযাত্রীরা পবিত্র হিম সরোবরে স্নান করছেন এবং গুরুদ্বার সাহেব দর্শনে যাচ্ছেন। ২৫ মে থেকে হেমকুন্ডের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। কপাট খোলার মাত্র আট দিনের মধ্যে ৩০,০০০ এরও বেশি পুণ্যার্থী হেমকুন্ডে পৌঁছে একটি নতুন রেকর্ড তৈরি করেছেন।
সাধারণত অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত হেমকুন্ডে তুষারপাত হয়, তবে এবার জুন মাসেও বরফ পড়ছে। গত রবিবার হেমকুন্ডের কপাট খোলার পর প্রথম তুষারপাত হয়। এই বরফপাত একদিকে যেমন যাত্রীদের আনন্দ দিয়েছে, তেমনই অন্যদিকে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি করেছে। তবে ১৫,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত হেমকুন্ডে প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও তীর্থযাত্রীরা নিয়মিত আসছেন এবং পবিত্র সরোবরে স্নান করছেন। হেমকুন্ড সাহেব ম্যানেজমেন্ট ট্রাস্টের সভাপতি নরেন্দ্র জিৎ সিং বিন্দ্রা উত্তরাখণ্ডের মুখ্য সচিব আনন্দ বর্ধনের সঙ্গে দেখা করে গোবিন্দঘাটে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন, যা তীর্থযাত্রীদের জন্য যাত্রা আরও সহজ করবে।