ব্যাঙ্গালুরুর পদদলিত হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদির গভীর শোক প্রকাশ

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB)-এর বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। এই সময় স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে এবং এতে ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গভীর শোক প্রকাশ করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “বেঙ্গালুরুতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এই দুঃখের মুহূর্তে আমার সমবেদনা उन সমস্ত মানুষের সাথে, যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। আমি প্রার্থনা করি যে, যারা আহত হয়েছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।” আইপিএল-এ ১৮ বছর পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বিজয় লাভ করেছিল। এই জয়ের আনন্দেই বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মানুষ স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে হয়। এই পদদলিত হওয়ার ঘটনায় ১১ জনের প্রাণহানি হয় এবং অনেকে আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পদদলিত হওয়ার ঘটনায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুরও প্রতিক্রিয়া আসে। তিনি বলেছিলেন, “বেঙ্গালুরুর একটি স্টেডিয়ামের ঘটনায় মানুষের প্রাণহানি দুঃখজনক এবং হৃদয়বিদারক। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি।” কর্ণাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন, “পদদলিত হওয়ার ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন।” এই বিষয়ে তৎকালীন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বলেছিলেন, “আমি পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা বলেছি এবং আমি হাসপাতালে যাচ্ছি। আমরা সকলের কাছে শান্ত থাকার আবেদন করছি। আমরা আমাদের অনেক কর্মসূচি বাতিল করেছি।” বেঙ্গালুরুর পদদলিত হওয়ার ঘটনায় বিসিসিআই-এর তৎকালীন সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বলেছিলেন, “তারা (কর্ণাটক সরকার) পদদলিত হওয়ার পরিস্থিতি এড়াতে রোড শো বন্ধ করেছিল। কিন্তু স্টেডিয়ামের বাইরে এমন কিছু ঘটবে তা অনুমান করা যায়নি। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। সকলকে মিলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”